,

নবীগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সৈয়দ খালেদের অপসারণ দাবীদুর্নীতি পরায়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়নবাসী

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে কুর্শি ইউনিয়নের বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান খালেদুর রহমান খালেদ কর্তৃক বে-আইনী প্রক্রিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান সৈয়দ আজিজ-হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী, অতিরিক্ত ভর্তি ফিসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অত্র প্রতিষ্ঠানকে কলেজ হিসেবে অনুমোদনের প্রক্রিয়া ভন্ডুল করে ইউনিয়নবাসীকে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, একযোগ ধরে নির্বাচন বিহীন ম্যানেজিং কমিটির পদবী এবং স্থানীয় বাংলাবাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণ ও দৈননন্দিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজী, মসজিদ ও মক্তবের টাকা আত্মসাত, অবৈধ প্রক্রিয়ায় বাংলাবাজারের মালিকানাধীন ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স সাজ-সজ্জার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিকালে ইউনিয়নের তিন তালাব নামক স্থানে ৩৭ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়নের খনকারীপাড়া গ্রাম আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ৮ মৌাজার বিশিষ্ট মুরুব্বী আলহাজ্ব আবদুস সাত্তার। থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ চৌধুরী রিপনের পরিচালনায় প্রদিবাদ মমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী পারছু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, শহরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি আলহাজ্ব মদব্বির হোসেন চৌধুরী মত্তকি মিয়া, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আবদুল গফুর চৌধুরী, পল্লী বিদ্যুাতের সাবেক পরিচালক খলিলুর রহমান চৌধুরী দুদু, উপজেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রশীদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোজাহিদ আহমদ, পৌর বিএনপির সেক্রেটারী নাজমুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম আহমদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউছুফ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল মুকিত চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার আবদুল মজিদ, যুবলীগ নেতা আব্দুল বাছিত চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, নবীগঞ্জ মডেল হাইস্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ আমির উদ্দিন, নবীগঞ্জ ফিউচার গ্র“পের এমডি সোহেল আহমদ, বিশিষ্ট ক্রিড়া ব্যাক্তিত্ব মোঃ ফুরুক মিয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দেব, যুবলীগ নেতা জগলু চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, আরজু মিয়া প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান চোর ডাকাতদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। নতুবা পুলিশ জানার আগে গভীর রাতে কোথায় ডাকাতি হচ্ছে তিনি জানেন কিভাবে? অপর বক্তা বলেন, চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ তুলে ধরে জনতার কাছে উক্ত চেয়ারম্যানের বিচার দাবী করেন। সমাবেশে বক্তারা বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্নীতির তদন্ত এবং সন্ত্রাসের গডফাদার হিসেবে সৈয়দ খালেদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তার অপসারণ দাবি করেন। সভায় বক্তারা বলেন, গডফাদার খালেদ সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের পৈত্রিক সম্পদ মনে করে নৈরাজ্য ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করেছে। বিভিন্ন প্রবাসী ও প্রতিবাদী লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। আয়োজিত সভায় ৩৭টি গ্রামের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর