,

নবীগঞ্জে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে মানুষের সচেতনতা!

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : করোনা মহামারিতে থমকে গেছে পুরোবিশ্ব। বাংলাদেশেও বাদ যায়নি মহামারি করোনার থাবা থেকে। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে ৩ অংকের কোটা পেড়িয়ে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৫ জন। নবীগঞ্জে সর্বপ্রথম ১ মে বিকাল ৩ টার দিকে একই ইউনিয়নের ৩ জন সহ ৫ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরে থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। এখন প্রায় প্রতিদিনই নবীগঞ্জে করোনার পজেটিভ রিপোর্ট আসছে। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই রাতে আরো ১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৫ জন। নবীগঞ্জের করোনা রোগীদের মধ্যে ৮৬ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে নবীগঞ্জের ১ জন মারা গেছেন। নবীগঞ্জ থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এর মধ্যে ১৩৫ জনের পজেটিভ রিপোর্ট ও ৮০২ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান।
সচেতনতার মাধ্যমে ও নিজ নিজ বাসায় অবস্থানের মাধ্যমে এ মহামারি ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব। এ ভাইরাস মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়েছে যুক্তরাস্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালির মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলো। বাংলাদেশে এ ভাইরাস হানা দিলে দেশের অবস্থা করুন হবে এ কথা চিন্তা করে দেশে বৃহৎ আকারে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই বাংলাদেশ সরকার দেশে লকডাউন ঘোষনা করেছিল এবং বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত নিজ ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। শুধু নিষেধাজ্ঞাই জারি করেনি সরকার প্রত্যেকের নিজ নিজ ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে দেশের পুলিশ-প্রশাসনকেও কঠোর হুশিয়ারি প্রধান করেছিল। সারা দেশের ন্যায় আমাদের নবীগঞ্জের পুলিশ-প্রশাসন ও তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর ছিল। কেউ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসন তো তাদের কাজ যথাযথভাবে পালন করেছে। কিন্তু আমরা কি আমাদের কাজ করেছি? আমাদের তো বেশি কিছু করতে বলা হয়নি শুধু ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল আর সচেতন থাকতে বলা হয়েছিল।
এ রিপোর্ট লেখা (২৮ জুলাই) পর্যন্ত নবীগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি উপড়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের নবীগঞ্জ শহরে মানুষের চলাচলের দিকে লক্ষ করলে মনে হয় করোনা নামে কোন মহামারি আমাদের নবীগঞ্জে নেই। দেখা যায় সবাই ঈদের বাজার করতে আসছেন কিন্তু এই ঈদের বাজারই তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। কেননা কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দেখে যাওয়া পোষাক কারো সংস্পর্ষে এলে সেও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া অনেকেই মাস্কবিহীন চলাচল করছেন। শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থবিধি মেনে চলাচলের কোন বালাই নবীগঞ্জবাসীদের মাঝে নেই। প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও লোকসমাগম হ্রাস করতে পারছেন না। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মোমিন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ব্যাবস্থা গ্রহন করলেও নবীগঞ্জবাসীদের অবাধে চলাচল বন্ধ করতে পারছেননা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে নবীগঞ্জবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে অনুরোধ করেন। বিশেষ করে সবাইকে মাস্ক ব্যাবহার ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের আহ্বান করেন। নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে সবাই সতর্ক থাকুন সুস্থ থাকুন।


     এই বিভাগের আরো খবর