,

আগামী ১৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন চালু

সময় ডেস্ক ॥ আগামী ১৬ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে চালু হবে করোনায় বন্ধ হওয়া ট্রেন। ওইদিন চালু হবে ১৩টি ট্রেন। বাকিগুলো চালু হবে পর্যায়ক্রমে। তবে এখনই খুলছে না রেলের টিকিট কাউন্টার। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ট্রেনে অর্ধেক আসন খালি রাখা হবে। রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে ট্রেন। দুই দফায় ১৯টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর চালু করা হয়েছিল। পরে দু’টি ট্রেন বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী সঙ্কটে। করোনা সঙ্কটকালে কৃষকের সুবিধার্থে কৃষিপণ্য ও পশুবাহী লাগেজ ট্রেন চললেও সব লোকাল ট্রেন এখনো বন্ধ। চালু থাকা ১৭টি ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো ১৩টি। এর মধ্যে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন, বাকিটি ঢাকা-ময়মনসিংহ-দেওয়ানগঞ্জ রুটের কমিউটার। চালু হতে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের ‘একতা’, ঢাকা-খুলনা রুটের ‘সুন্দরবন’, ঢাকা-রাজশাহী রুটের ‘পদ্মা’, ঢাকা-সিলেট রুটের ‘পারাবত’, ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের ‘হাওর’, ঢাকা-ময়মনসিংহ-তারাকান্দি রুটের ‘অগ্নিবীনা’, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ‘মহানগর’, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটের ‘তিতুমীর’, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয়’, খুলনা-চিলাহাটি রুটের ‘সীমান্ত’ এবং খুলনা-গোবরা রুটের ‘টুঙ্গিপাড়া’। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে না এবং অর্ধেক আসন খালি রাখা হবে বলে জানিয়েছে রেল মহাপরিচালক শামসুজ্জামান। গতকাল রবিবার রেলের চিঠিতে জানানো হয়েছে, সচল ৩০টি ট্রেনের সব টিকিট পাঁচদিন আগে অনলাইনে ও অ্যাপে ছাড়া হবে। ট্রেন ছাড়ার ৩৬ ঘন্টা আগে দুই শতাংশ টিকিট সংরক্ষিত থাকবে রেলের কর্মীদের জন্য। করোনা পরিস্থিতি দূর না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর, জয়দেবপুর এবং মুন্সিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেনে খাবার দেওয়া হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
স্টেশন কাউন্টারে টিকিট বিক্রিতে করোনার ঝুঁকি রয়েছে; এ যুক্তিতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে দিচ্ছে রেল। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ অনলাইন সুবিধার বাইরে। নিম্ন শ্রেণির টিকিটের ক্রেতা গরিব যাত্রীদের অনলাইন সুবিধা নেই। তাই করোনকালে শোভন শ্রেণির টিকিট অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। কিন্তু রেল অনলাইনেই ভরসা রাখছে।


     এই বিভাগের আরো খবর