,

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে খালেদার সাক্ষাতে অনিশ্চয়তা

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ সফর কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। তবে যাতে দ্’ুনেতার মধ্যে সাক্ষাতটি হয় সে ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যায়ে জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে আশাবাদি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, অবশ্যই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক হবে। আমাদের নেত্রী তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আমাদের প্রত্যাশা ও দু দেশের দ্বি পাক্ষিক বিষয়ে কথা বলবেন। তাদের দুজনের মধ্যে সাক্ষাতের বিষয়টি বিএনপির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাত না হওয়ার কোনো কারণ তো দেখি না। তবে এবিষয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কী করতে পারি। আমাদের কী করার আছে, আপনারাই বলেন। বরং যাদের আমন্ত্রণে তিনি আসছেন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। তারাই ভালো বলতে পারবেন। সূত্র জানায়, বিদেশি কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল এখন খালেদা জিয়ার নেই। আবার মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের ব্যাপারে সরকারও ইতিবাচক নয়। ফলে বিষয়টি নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর। আগামী ৬ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ঢাকায় অবস্থান করবেন ৩৬ ঘণ্টা। এই সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে বিএনপি চেয়াপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে দেশ-বিদেশে জোর লবিং করছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদসহ কয়েক জন নেতা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাত পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শমসের মবিন চৌধুরীও এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। এ ছাড়া লন্ডন থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুকও চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সূত্র আরো জানায়, খালেদা জিয়া-নরেন্দ্র মোদি সাক্ষাত হলে সেখানে দু দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। এছাড়া, রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সব মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখা বিষয়টিও নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফর কালে বিএনপি ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বাংলাদেশে দ্রুত আরেকটি নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এবারও আরেকটি নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ও একই সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানে নরেন্দ্র মোদিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানাবে বিএনপি।


     এই বিভাগের আরো খবর