,

সেপ্টেম্বরের ভেতর ইংল্যান্ডের ৮০% কর্মকর্তা কর্মচারীর অফিস উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় সরকার

সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কে সিবিআই ও এফডিএ ইউনিয়ন

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন : ব্রিটেনের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাষ্ট্রি (সিবিআই) ও এফ.ডি.এ. ইউনিয়ন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন এই সেপ্টেম্বরের ভেতর ৮০% কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে দেখতে চায় সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এফ.ডি.এ. ইউনিয়ন বলছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পূরানো আমলের কেননা এখনও ব্রিটেনের মানুষ কোভিড-১৯ এর কারণে প্রচন্ড স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। এই মূহুর্থে সরকারের এমন সিন্ধান্ত নেয়া উচিত হবেনা। তারা মনে করছেন বছর শেষে অফিস গুলোতে উপস্থিতি ৪০% হতে পারে। কেননা কেউই জীবনের ঝুকি নিয়ে বাড়ী থেকে বের হতে চাইছেনা। এছাড়া কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়ীতে বসেই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন। ইউনিয়ন মনে করে জোর করে অফিসে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ানো মোটেই ঠিক হবে না। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে শীতে কোভিড-১৯ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সিবিআই বলছে যত দ্রুত সম্ভব কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে ফিরে আসা উচিত নতুবা দেশের সিটি সেন্টার গুলো ভূতুরে শহরে পরিণত হবে। এদিকে প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সপ্তাহে অন্ততঃ একবার হলেও যার যার অফিসে গিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে অফিসে এসে কাজ করলে কর্মক্ষেত্র যেমন প্রাণবন্ত হবে সেই সাথে শহর গুলো লোকেলোকারন্য হবে এতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে। তিনি আরো বলেন রোটা করে হলেও অফিস কর্মচারীদের নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে অন্তন একবার অফিসে উপস্থিত হওয়া উচিত। ইংল্যান্ডের বাইরে, গ্রেটব্রিটেনের অন্যান্য প্রদেশের স্কটল্যান্ড, ওয়েল্ধসঢ়;স এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাড়িতে বসেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারী বিধি মেনে কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেন রোটা করে হলেও অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করেন, সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্ব স্ব বিভাগীয় প্রধানদের কাছে চিঠি ইস্যু করেছে সরকার। এদিকে এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমানে ইংল্যান্ডে মাত্র ১৭% কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসে ফিরেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর