,

শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্টে আহত চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রী নদী আক্তারকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতির নগদ অর্থ উপহার

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনুর ॥ শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্টে আহত ইসলামী একাডেমির চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রী নদী আক্তারের পাশে দাড়িয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ফজল উদ্দিন তালুকদার। বিগত প্রায় ৫ মাস ধরে দুই পা হারিয়ে জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গতকাল শনিবার শায়েস্তাগঞ্জের পৌরসভা মেয়র প্রার্থী ফজল উদ্দিন তালুকদার বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনায় আহত শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমির চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রী নদী আক্তার কে দেখতে যান। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। পরে তার হাতে ২৫ হাজার নগদ অর্থ উপহার দেন। পরিশেষে শায়েস্তাগঞ্জের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলকে নদী আক্তারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান। উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামীয়া একাডেমির ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের রফিক মিয়া কন্যা নদী আক্তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা স্থানীয় আল মদিনা আবাসিক হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুনের বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় সে বৈদ্যুতিক মেইন লাইন থেকে টানা অবৈধভাবে ওই বাসার ছাদে ফেলে রাখা তারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৭ মে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়। পড়ে ৪ জুন তার দুটি পা কেটে ফেলা হয়। দীর্ঘদিন তার চিকিৎসার আর্থিক জোগান দিয়ে বর্তমানে অসহায় বোধ করছেন তার পিতা রফিক মিয়া। জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে তার চিকিৎসায় প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন দিশেহারা। তার দরিদ্র পিতার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়-ভার আর বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। উন্নত চিকিৎসার অভাবে নদী এখন প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন। শায়েস্তাগঞ্জের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলকে নদী আক্তারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানায় তার পরিবার।


     এই বিভাগের আরো খবর