,

চেয়ারে বসে নামাজ, ইফার ফতোয়ায় মন্ত্রিসভায় প্রশ্ন!

সময় ডেস্ক ॥ চেয়ারে বসে নামাজ পড়া বৈধ হবে না ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জারি করা এমন ফতোয়া নিয়ে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছে। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জারি করা ফতোয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই ফতোয়া নিয়ে কথা বলেছেন। এ বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার একজন সদস্য জানান, মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী ইফার ফতোয়া জারি নিয়ে কথা বলেন। তারা সমালোচনা করে বলেন, ধর্মেই আছে যেভাবেই হোক নামাজ পড়তে হবে। যে যেমন করে পারে নামাজ পড়তে হবে। যিনি দাঁড়াতে না পারবেন তিনি বসে পড়বেন। বসতে না পারলে শুয়ে পড়বেন। চেয়ারে নামাজ পড়া জায়েজ হবে না এই ফতোয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন কোথায় পেল? এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনও দেখা গেছে উঠতে পারছেন না, তিনি শুয়ে নামাজ পড়ছেন, তাহলে তার নামাজ হবে না? ঘধসধু-চযড়ঃড়ং-অ-সধহ-ড়হ-ধ-যিববষ-পযধরৎ-রং-ড়ভভবৎরহম-ঘধসধু-রিঃয-ঃযব-মধঃযবৎরহম-ঘধসধু-ঝধষধঃ-চরপঃঁৎবং রোববার প্রচারিত ইফার গবেষণা বিভাগ জানায়, চেয়ারে বসে ফরয, ওয়াযিব ও মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় বৈধ নয়। যেখানে একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্য খোদ শরিয়াহ আইনে সুবিধা মতো নামাজ আদায়ের অনেক বিকল্প পন্থা রয়েছে। যা অনুসরণ করে যানবাহনে, বিমানে অনেকেই ইশারায় নামাজ পড়েন। হজের সময় দেখা যায় বৃদ্ধদের হুইলচেয়ারে নামাজ সহ আনুষঙ্গিক নিয়মগুলো পালন করছেন। সেখানে সে সব বাদ দিয়ে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বৈধতা নিয়ে ইফা কেন ফতোয়া দিতে গেল তা অনেকেরই বুঝে আসছে না। বাংলাদেশের অনেক মসজিদের কাতারের দু’পাশে চেয়ারের ব্যবস্থা থাকে। যেখানে যারা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন না, বা কোমরে ব্যথ্য থাকায় চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করে থাকেন। অনেক দেশে নামাজের জন্যে বিশেষ চেয়ার পাওয়া যায়। রোববার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগ থেকে ওই ফতোয়ায় নামাজ পড়াকে জায়েজ নয় বলার পর অনেকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ওই ফতোয়ার বিষয়ে প্রথমে আলোচনার সূত্রপাত করেন। কৃষিমন্ত্রী নিজেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন।


     এই বিভাগের আরো খবর