,

শ্রেষ্ঠ বিপণন বিক্রেতা প্রতিবন্ধী নুর ইসলাম

শ্রেষ্ঠ বিপণন বিক্রেতা প্রতিবন্ধী তবুও ভিক্ষাবৃত্তি নয় (কর্মই শ্রেষ্ঠ) আমি একজন শারিরীক প্রতীবন্ধী। ১৫ বছর ধরে আমি শারিরীক প্রতীবন্ধী। আমি ভিক্ষা না করে কাজ করে জীবন জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং নিজামপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড বাতাসার গ্রামে। আমি নুর ইসলাম, বয়স ২৮ পিতা- মোঃ সদর আলী, আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ অতি দরিদ্র, আমার পরিবার আমি সহ ৩ ভাই ও ৪ বোন। আমার বয়স যখন ১২ তখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতাম। অভাবের কারনে আমার বাবা আমাকে একটি দোকানে চাকরিতে দিয়ে দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০০৭ সালে কাজ করার সময় একদিন রাতে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি মটর বাইক আমাকে আঘাত করে চলে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে এলাকার মানুষ আমাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঢাকার ডাক্তার বলেছেন আমার মাথার অপারেশন লাগবে। আমার পরিবারের গরু, ছাগল সবকিছু বিক্রি করে এবং এলাকার মানুষের সহযােগিতা নিয়ে আমার অপারেশন করানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম এবং আমার পরিবারের কাছে টাকা পয়সা ছিল না। আমার পরিবার আমাকে বাড়িতে আনার সিন্ধান্ত নেয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমি বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফেরার দীর্ঘদিন পর আমার বাম হাত বাম পা (damage) হয়ে যায়। তখন আমাকে চিকিৎসা করানাের মত টাকা আমার পরিবারের কাছে ছিল না। এই ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলতেছি এবং এক পর্যায় আমি সহযোগিতার জন্য মানুষের কাছে সাহায্য চাই। এই ভাবেই মানুষের কাছে দীর্ঘদিন সাহযোগিতা নিয়ে জীবন জিবীকা চালিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় এক মহান মানুষের সাথে দেখা হয় ওনার কাছে সহযোগিতা চাওয়ার পর ওনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমার সমস্যা কিভাবে হয়েছে। আমি সবকিছু খুলে বলি ওনাকে এবং আমি ওনার কাছে দাবি করি আমার উন্নত চিকিৎসার জন্য। তখন তিনি আমাকে বললেন আমার পরিবারের কারো কি মোবাইল নাম্বার আছে। আমি আমার পরিবারের মোবাইল নাম্বার ওনাকে দেই। ওনার নাম ANS Habibur Rahman (Education & Develoment Consultant) ওনার ফোন দিয়ে একটি ফটো তুলেন এবং আমার নাম্বার সহ আমার ফটো দিয়ে ওনার ফেসবুক একাউন্টে পোষ্ট করেন। এই পোষ্টটি দেখে একজন মহান মানুষ কুড়ি হাজার টাকা দেন আমার উন্নত চিকিৎসার জন্য। ওনি আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দেন আমি ঢাকা আসার জন্য এবং ওনার কাছে যাওয়ার পর ওনি আমাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল বলে দিয়েছে এখানে আমার চিকিৎসা নেই এবং ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল বলে দিয়েছে ইন্ডিয়াতে উন্নত চিকিৎসা আছে যা অনেক টাকার প্রয়োজন আমার পরিবারের পক্ষে এত টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই আমি বাড়িতে ফিরে আসি। যিনি আমাকে কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিলেন এই টাকা দিয়ে আমি একটি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা দেই। আমি মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা না নিয়ে এই কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে আমি মোবাইল ফোনের কার্ড হেঁটে হেঁটে বিক্রি করি। এই ভাবে আমি আমার জীবন জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন বর্তমানে আমি হবিগঞ্জের সব ধরনের পত্রিকা এবং মোবাইল ফোনের কার্ড বিক্রি করে জীবন জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আপনাদের সকলের কাছে দোয়া সহযোগীতা প্রার্থী।

মোবাইল নং ০১৭৭৭-২৬৬৯০০।


     এই বিভাগের আরো খবর