,

সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় হবিগঞ্জ থেকে ৩ জন সহ মোট ৫ আসামী গ্রেফতার

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ঘটনার মামলায় হবিগঞ্জ থেকে ৩ আসামী সহ মোট ৫ আসামীকে গ্রেফকার করা হয়েছে।  রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় রাজনকে সহযোগিতা করায় আইনুল নামের আরেক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব ও ডিবি সূত্রে জানা যায়, সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামের ছাত্রলীগ নেতা ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে রাত ১ টার দিকে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে। রাজন ওই মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীকে নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ভোরে মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ২৫ বছর বয়সী অর্জুন লস্কর কে গ্রেফতার করে সিলেট ডিবি পুলিশ, রাতে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা থেকে ২৮  বছর বয়সী মাহবুবুর রহমান রনি কে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯ এবং ২৫ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম কে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের মৃত আমজদ উল্লার ছেলে বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেলিম সহকারে গ্রেফতার করে একদল ডিবি পুলিশ। এর আগে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থেকে প্রধান আসামী ২৮ বছর বয়সী সাইফুর রহমান কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে ওই মামলার মোট ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান (২৮) কে প্রধান আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামীর নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামী রয়েছে। নাম থাকা আসামীদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে ২৮ বছর বয়সী তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ জেলার  জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে ২৮ বছর বয়সী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে ২৫ বছর বয়সী অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের ২৫ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের ২৫ বছর বয়সী মাহফুজুর রহমান মাসুম


     এই বিভাগের আরো খবর