,

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আদালতে দোষ স্বীকার করেছে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল

সময় ডেস্ক ॥ এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছে তিন আসামী সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল। গতকাল শুক্রবার বিকালে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে তারা ঘটনা স্বীকার করেন। এর আগে রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও ঘটনা স্বীকার করেন। পুলিশ জানায়, প্রথম দিকে তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত ছিলো। এ কারণে পুলিশ ধর্ষকদের খুজে চিহিৃত করতে তাদের ডিএন’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সিলেটের আদালতে প্রথমেই নিজের দোষ স্বীকার করে মামলার অন্যতমন আসামী অর্জুন লষ্কর। সে জানায়, বাইরে থেকে ওই মহিলাকে হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে। এদিকে অর্জুন লস্করের পর সিলেটের আদালতের জবানবন্দি দেয় প্রধান আসামী সাইফুর রহমানও। সে আদালতেও ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে সে রাজন, আইনুদ্দিন ও তারেকের নাম উল্লেখ করেছে। রাতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রবিউলের। সেও একই ভাবে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে আদালত পুলিশ।
এর আগে গত ২৫শে সেপ্টেম্বর ঘটনার পরপরই সিলেট ছাড়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ধর্ষণ মামলার আসামীরা। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর রবিবার ভোরে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রধান আসামী সাইফুর রহমানকে। একই সময় হবিগঞ্জের মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আসামী অর্জুন লস্করকে। রাতে হবিগঞ্জের ইনাতগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো রবিউলকে। রবিবার আটক হওয়া তিন জনকেই সোমবার আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে দেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্রাচার্য তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুলিশ জানায়- রিমান্ডে আসামী সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল প্রথম দিকে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তবে- শেষ দিকে এসে তারা ঘটনা স্বীকার করে। তারা জানিয়েছে- রাজন, আইনুদ্দিন ও রাজন তাদের নিয়ে এসেছিলো।


     এই বিভাগের আরো খবর