,

প্রধানমন্ত্রী স্পীকার ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আইন পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.  মোঃ আবু জাহির। গতকাল সোমবার সংবাদপত্রে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি হবিগঞ্জবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অনন্য উপহার। সারাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৬টি। জাতির জনকের কন্যা আমাদেরকে দেশের ৭ নম্বর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে তিনি হবিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি’র প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন উক্ত জনসভার সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এড. মোঃ আবু জাহির। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চারটি দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এগুলো হল হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তর ও বাল্লা স্থলবন্দর। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ৩টি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র ৩ জনকে। তারা হলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এড. মোঃ আবু জাহির এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও কর্যালয়ের মহাপরিচালক। এরপর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর বাস্তবায়নের কাজে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেন এমপি আবু জাহির। তার এই অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা, বাল্লা স্থলবন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। সর্বশেষ গেল ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। পরে বিলটি গত ২৩ জুন সংসদে উত্থাপিত হলে পরীক্ষাপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। অবশেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর