পিন্টু অধিকারী : মাধবপুর বাজারগুলোতে আগাম শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অসময়ে অতিবৃষ্টির প্রভাবে বাজারে সব ধরণের শাক-সবজির দামই বৃদ্ধি পাচ্ছে হু হু করে। সব রকম সবজিই কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এক কথায় সবজির মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে আগাম শীতের সবজি সীম ও ফুলকপি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, পাতাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২শ’ থেকে আড়াইশ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার তেলিয়াপাড়া, শাহপুর, নোয়াপাড়া, জগদীশপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিনে ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। কাঁচামালের মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০/২৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু ৪৫/৫০ টাকা, করলা ৭০/৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫/৯০, কাকরুল ৫০/৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশী টমেটো ৮০ টাকা, হাইব্রীড টমেটো ১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, দেশী আলু ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ঝিঙা ৬০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ৪০, পুঁই শাক ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারের কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা সমিরন পাল জানান, দেশের সবজি উৎপাদনের স্থানে বন্যায় সবজি বাগান তলিযে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। নোয়াপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা করিম হোসেন বলেন, কৃষি ক্ষেত্র অনেক নষ্ট হওয়াতে সবজিগুলো বাজার আসে না। সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়তি চলছে। এলাকার সবজি বিভিন্ন পাইকারী বাজারে চলে যাচ্ছে। তাই সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।