,

সামনে দুর্গাপূজা: চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক

জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাট থানা পুলিশ মাদকের নির্মূলে শপথ নিলেও উপজেলায় কমছে না মাদক ব্যবসা। কৌশলে পাচার হচ্ছে মাদক। সীমান্তের ৬টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে মাদক। শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যাপক হারে মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় নানান জাতের মাদক। ভটকা, অফিসার সয়েজ ব্লুু, বিয়ার, হুইস্কি, ইয়াবা আর গাঁজাতে সয়লাব চুনারুঘাট।

 

এসব ব্যবসায় জড়িত আছেন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও নেতার গোষ্টী। অভিযোগ রয়েছে, নারী-শিশু, যুবক-কিশোরদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করানো হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী এদের আটকাতে পারছে না। জানা গেছে মাদক ব্যবসায় যারা টাকা লগ্নী করছে তারা খুবই প্রভাবশালী। এদের সখ্যতা রয়েছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সাথে।

 

সমাজে এরা বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। রাজনৈতিক সভা-মিটিং এ অংশ নেয়, নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ কারনে পুলিশ এদের ধার-কাছে ঘেঁষতে পারে না। মাদকের পাশাপাশি ভারতীয় চা পাতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও চোরাই পথে আনা হচ্ছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী গাজীপুর ইউনিয়নের গোবরখলা, মোকামঘাট, পাক্কাবাড়ী, টেকেরঘাট, টিলাবাড়ীর ২ শতাধিক লোক মাদক ব্যবসায় জড়িত। আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বনগাঁও, গোছাপাড়া ও গেড়ারুক গ্রামের প্রভাবশালী গোষ্টীর নারী পুরুষ মাদক ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেছে। পুলিশের খাতায় এদের নাম আছে, কিন্তু এদের টিকিটিও নাড়াতে পারে না আইনশৃংখলা বাহিনী।

 

আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ীরা অপকর্ম আড়াল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এরা ফেসবুকে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে বাহবা কুড়ায়। কেউ কেউ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে দান খয়রাত করে সাধারনের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করে। ওরা চলে ভালো মানুষের লেবাসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথেও রয়েছে তাদের আতাঁত। চোখের সামনে সিএনজি, মোটরসাইকেলে করে মাদক পাচার হচ্ছে প্রতিনিয়িত। মহিলারা বোরকার আড়ালে চালাচ্ছে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা। স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারাও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।

 

জনপ্রতিনিধিসহ কিছু টাউট-বাটপারদের। এ কারনে ওরা ধরাও পড়ছে না। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী বলছে, মাদক পাচাররোধে তারা খুবই সজাগ। মাদক পাচার যাতে না হয় সে ব্যাপারে তারা নিয়মিত টহল পরিচালনা করছেন, মাদকের চালানও আটকাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জানান, করোনা পরিস্থিতির পরে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই বাধ্য হয়ে এ ব্যবসা করছি। অপরদিকে চুনারুঘাট থানার নবাগত ওসি আলী আশরাফ জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি আমরা। গত কয়েকদিনে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়। মাদক ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


     এই বিভাগের আরো খবর