,

বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডে যাত্রী ভোগান্তির আরেক নাম শুটকি ব্রীজ

জহিরুল ইসলাম নাসিম ॥ বানিয়াচং হবিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তির আরেক নাম শুটকী বেইলী ব্রীজ। দীর্ঘদিন যাবত ব্রীজটি জরাজীর্ণ। পুনঃমেরামতের আদৌ কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা। কিছুদিন পর পরই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেই শুরু হয় জোরাতালি দেওয়া। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই যেই সেই। মাঝখানে শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি। ব্রীজটি পুনঃমেরামত না করলে ঝুকিপূর্ণ এই ব্রীজে ঘটতে পারে প্রানখানী। মালামাল ও যাত্রীবাহী গাড়ী ধ্বসে পড়তে পারে যে কোন সময়। বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার কয়েক লক্ষ লোকের শহরে পৌছার এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। তাই যানবাহন ও যাত্রীদের জন্য এটি ব্যস্ততম সড়ক। ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়তই এই ব্রীজ দিয়ে চলাচলে এক ধরনের ভয় কাজ করে যাত্রীদের মাঝে। কিছুদিন পরপরই ব্রীজটির অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে চলে সংস্কার কাজ। তেমনি বিগত ২৬ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষনার মধ্য দিয়ে চলছে ব্রীজের সংস্কার কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সংস্কার করার কারনে অতীতের মত এবারও বন্ধ রাখা হয়েছে গাড়ী চলাচল।যাত্রীরা পায়ে হেটে এপার ওপার গাড়ী বদল করে বানিয়াচং হবিগঞ্জ আসা যাওয়া করছেন। এই সুযোগে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া আর তাহা আদায় করে নিচ্ছে যাত্রীবাহী পরিবহনের ড্রাইভারগন। আর এই প্রথম যোগ হল আরেক ভোগান্তি ও অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। নদীর মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য নৌকা দিয়ে তৈরি হয়েছে ফেরি। বড় বড় ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপারে ১০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও অল্প দুরত্বের এই নদীতে বাইক প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা যাহা গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। এ যেন মরার উপর খরার ঘা। এসবের প্রতিকার একমাত্র প্রশাসনের দ্বারাই সম্ভব হবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন। গতকাল রবিবার ১ নভেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাড়ীগুলো ব্রীজের দুইপাশে জটলা বেধে দাড়িয়ে আছে। এ পাড় ওপারে কোন গাড়ী আসছে আবার যাচ্ছে যাত্রীরা নেমে পায়ে হেটে ব্রীজ পার হচ্ছেন। বাইকগুলো অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফেরী দিয়ে পারাপার করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী যাত্রীরা আক্ষেপের সূরে জানান প্রায় এক যুগ ধরে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আবার স্থানীয় এমপিও ততদিন যাবত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আছেন তারপরও বছরের পর বছর ধরে সুটকি নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও কেন যে পুনঃসংস্কার হচ্ছেনা তাইত বোধগম্য নয়। এই ভোগান্তি আর কতকাল আমাদেরকে পোহাতে হবে। তারা এই ভোগান্তির অবসান পেতে সরকার,স্থানীয় এমপি, প্রশাসনকে এদিকে সুনজর দিতে আহবান জানিয়েছেন। তারা মনে করেন সকলের সুদৃষ্টি আর চেষ্টাই পারে লক্ষ লক্ষ মানুষের এই ভোগান্তি লাগব করতে।


     এই বিভাগের আরো খবর