,

হবিগঞ্জ জজ ও চীফ জুডিসিয়াল আদালতে পকেটমারের উপদ্রব বৃদ্ধি

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জজ ও চীফ জুডিসিয়াল আদালতে পকেটমারের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়তই কারো না কারো পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাচ্ছে পকেটমাররা। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল মানুষ, আইনজীবি, আইনজীবি সহকারিরা। প্রতিদিনই একটি সংঘবদ্ধ চক্র এজলাসের দরজার সামনে ভিড় দেখতে পেলে উৎপেতে থাকে এবং কৌশলে পকেট কেটে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। একাধিকবার জনতার হাতে আটক হয়ে অনেক ছিনতাইকারী কারাগারে গেলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে আবারও একই পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়ছে। ফলে তাদের কারণে কোর্টে আসা বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবিরাও সর্বস্ব খোয়ানোর আতংকে ভুগছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪র্থ তলায় আইনজীবি সহকারি সাহারাজ মিয়ার পকেট থেকে মানিব্যাগ ভর্তি ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় পকেটমার। এর আগে এক কোর্ট স্টাফের সাথেও একই ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে ফরিদ, মিজান, রহমত আলী ও মোহাম্মদ আলী পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যায়। কিন্তু বেরিয়ে এসে তারা আবারও একই পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবি জানান, করোনা মহামারীর কবলে বিচারপ্রার্থীরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিচারের স্থান আদালতে এসেও পকেটমারসহ টাউট বাটপারদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অনতি বিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবিরা। কোর্ট ইন্সপেক্টর জানান, বিষয়টি শুনেছি, অবশ্যই পকেটমারদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর