,

নবীগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাক্ষী হওয়ায় মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকার উকিল নোটিশ

নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুমি বেগমের স্বামী ইনামবাঐ গ্রামের সাহিদুর রহমানের নামে ৪ লক্ষ টাকার উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লোকমান উদ্দিনের পুত্র মোঃ এনাম উদ্দীন। ভূক্তভোগী মোঃ সাহিদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অপকর্মের হোতা এনাম উদ্দীনের কাছ থেকে আমি প্রায় ৬ মাস পূর্বে নবীগঞ্জের চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল ইসলামের মাধ্যমে একটি অলিখিত চেক দিয়ে ২৫ হাজার টাকা লগ্নি হিসেবে নিয়েছিলাম। ২৫ হাজার টাকার লাভ ৮ হাজার টাকা ধার্য্য করে চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইছমত আহমেদ সহ আরো অন্যান্যজনের সামনে ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বাকি ২ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য কয়েকদিনের সময় নেই। এর মধ্যে আমি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি। মোঃ এনাম উদ্দীনের পিতা ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লোকমান উদ্দিন প্রায় আড়াই বছর পূর্বে দক্ষিনগাঁও গ্রামের জনৈক এক মহিলাকে মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দিলে ওই রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে ওই মহিলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নবীগঞ্জে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় লোকমান উদ্দীন মেম্বার প্রায় ২ মাস হাজতবাস করে হাইকোর্টের মাধ্যমে জামিনে আসেন। আমার স্ত্রী বাউসা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুমি বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার চার্জশিটের সাক্ষীতে নাম আসায় মোঃ এনাম উদ্দীন তার পিতার ওপর দায়েরকৃত মামলার প্রতিশোধ নিতে ২ হাজার টাকার পরিবর্তে চেক ডিজওনার করে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ৪ লক্ষ টাকার উকিল নোটিশ পাঠায়। আমি উকিল নোটিশের ব্যাপারে এনাম উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে এনাম উদ্দীন জানায়, তার পিতা লোকমান উদ্দীনের মামলার সাক্ষী তাদের পক্ষে দিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতে প্রদান করলে, তারা চেকের মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়ে দিবে। পিতা ও পুত্রের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। বছরখানেক পরেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পিতা পুত্রের এমন কর্মকান্ড নিয়ে বাউসা ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকান পাঠে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এনিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে চৌধুরী বাজারে আনোয়ারখালি খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যালয়ে সালিশ বৈঠকে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এনাম উদ্দীনের পাওনা ২৫ হাজার টাকার প্রমান হয়। লাভের অংশ ৮ হাজার টাকার মধ্যে আমি ৬ হাজার টাকা পরিশোধও করি। কিন্ত পিতার উপর দায়েরকৃত নারী নির্যাতন মামলার প্রতিশোধ দিতে মোঃ এনাম উদ্দীনের এমন পরিকল্পিত কর্মকান্ডে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মোঃ সাহিদুর রহমান
সাং- ইনামবাঐ
৫নং ওয়ার্ড, ৯নং বাউসা ইউ/পি
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর