,

নবীগঞ্জে চুরির ঘটনায় সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৫

সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সুর্জাপুর গ্রামে চোরের বিচার করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার। সালিশে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত ১০ ঘটিকায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, বাউসা ইউনিয়নের সুর্জাপুর গ্রামের রুনা বেগম নামে এক মহিলা সাম্প্রতি সময়ে ওমান থেকে দেশে আসেন। অভাব অনুঠনের সংসার চালাতে প্রবাসে জীবনজাপন করছেন। এবার তিনি দেশে এসেছেন। কিন্তু ওমান থেকে নিয়ে আসা দেড়ভরী স্বর্ণ ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন গত ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে একদল চোর চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় তার মেয়ে শিমা আক্তার চোরদের দেখে চিৎকার করতে শুরু করে। শিমা আক্তারের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে চোরচক্রটি পালিয়ে যায়। তবে চুরি করতে আসা ওই গ্রামের কাচন মিয়ার পুত্র আকিলকে ছিনে ফেলে শিমা। পরে শিমার মা ওমান প্রবাসী রুনা বেগম জানান তাদের ঘর থেকে দেড়ভরী স্বর্ণ ও বেশকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে চোরচক্রটি। বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল হককে। তিনি বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন রুনা বেগমকে। এনিয়ে গত (২ ডিসেম্বর) বুধবার রাতে গ্রামের মুরব্বিদের নিয়ে সালিশে বসেন ইউপি মেম্বার নুরুল হক। সালিশের একপর্যায়ে নিজেদের দোষ ও শিকার করে নেয় আকিল। সে জানায় তার সাথে একই গ্রামের পারছু মিয়ার পুত্র পারভেজ ও ছিল। এতে করেই গ্রাম্য পঞ্চায়ের সামনেই দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৫ জন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্বার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন, জামিল আহমেদ (৩০), সোহেল মিয়া (২৬), কাচন মিয়া, হৃদয় আহমেদ। এরমধ্যে জামিল আহমেদকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর