,

দোষ স্বীকার না করলেও মোবাইল কোর্টে অপরাধীরা শাস্তি পাবে ॥

সময় ডেস্ক ॥ দোষ স্বীকার করুক আর না করুক সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনায় অপরাধীদের শাস্তির বিধান রেখে ‘মোবাইল কোর্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আর অপরাধীদের বিচারের জন্য মোবাইল কোর্ট এখন থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে পারবেন।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা ভোটিং সাপেক্ষে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। ২০০৯ সালে মোবাইল কোর্ট আইন করা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ভেজালবিরোধী অভিযান, ইভটিজিং প্রতিরোধ, দুর্নীতিমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠান, সুষ্ঠু নির্বাচন ও জানমাল রক্ষায় দ্রুত বিচার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয়ে আসছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০১০-২০১৪ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিশেষ করে ইভটিজিং প্রতিরোধে খুব ভালো ফল এসেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান আইনে মোবাইল কোর্টে বিচারযোগ্য অপরাধ যিনি করেছেন তা স্বীকার করলে শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ করেও দোষ স্বীকার করেন না, ফলে শাস্তি দেওয়া যায় না। আইন সংশোধনের ফলে দোষ স্বীকার করলেও অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া যাবে। দোষ স্বীকার না করলেও সাক্ষ্য গ্রহণ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে শাস্তি দিতে পারবেন মোবাইল কোর্ট। সংশোধিত আইনে বিচারের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর ও বায়োমেট্রিকের ব্যবহার করা যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে ইলেকট্রনিক সিগনেচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে বায়োমেট্রিকের ব্যবহার রয়েছে। মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যিনি বিচার পরিচালনা করবেন, তিনি বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যেমন-দুধে পানি দেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ মতামত প্রয়োজন পড়বে। সংশাধনের ফলে মোবাইল কোর্ট আইন আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাবে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আরও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন সংশোধনের ফলে বিচারিক আদালতের ক্ষমতা খর্ব হবে না। শাস্তির জন্য মোবাইল কোটের্রর তফসিলে এখন পর্যন্ত ৯৩টি আইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিচারের জন্য অনেক মন্ত্রণালয়েরও আগ্রহ রয়েছে। কিছু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা মোবাইল কোর্টকে আরও কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছিল।


     এই বিভাগের আরো খবর