,

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, মাসিক সভা না করা, বেনামে প্রকল্প আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ এনেছেন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। অভিযোগকারী মেম্বাররা হলেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু মিয়া, মেম্বার সাপু আলম, মেম্বার নজমুল হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামছুন্নাহার। এলাকাবাসী ও অভিযোগকারী মেম্বারগণ গত মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ ও অভিযোগকারী মেম্বারদের উপস্থিতিতে
সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠানের সভাপতিত্বে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমেদ জিহাদী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ বয়াত উল্লা, ইনাতগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান, সভাপতি আব্দুল খালিক, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান স্বপন, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন, ইনাতগঞ্জ জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ সিরাজ উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ আলম বুলবুল দুলুর, বান্দের বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাবেক মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক মেম্বার ছনর উদ্দিন প্রমূখ। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু মিয়া, ইউপি সদস্য সাপু আলম ও ইউপি সদস্য নজমুল হোসেন চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ ও সচিব রাসেন্দ্র কুমার দাশের বিরুদ্ধে তাদের দীর্ঘ বক্তৃতায় বিগত প্রায় ৫ বছরে নানা দুর্নীতিও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, বিগত ২০১৬/১৭ অর্থবছরের এলজিএসপির ২৪ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে চোয়ারম্যান কর্তৃক আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন। এছাড়া ২০১৬/১৭ অর্থবছরের কর্মসূচির ৭ লক্ষ টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। হোল্ডিং ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাব না দিয়ে হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেন। সভায় তারা অভিযোগ করে বলেন বান্দের বাজারে একটি ড্রেন নির্মাণ করে দেয় আইডিয়া। কিন্ত চেয়ারম্যান ওই প্রকল্প এলজিএসপির দেখিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণের সম্মানি ভাতা প্রায় ২ লক্ষ টাকাও চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ দেনননি বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন। উভয়ের বক্তব্য শুনার পর এলাকার নেতৃবৃন্দ অভিযোগের সার্বিক বিষয়ে সরকারী অনুদানগুলি সঠিকমত কাজ করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইনি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ ও প্রদক্ষেপ গ্রহন করার লক্ষ্যে খালেদ আহমেদকে আহবায়ক, মাসুদ আহমে জিহাদীকে যুগ্ম আহবায়ক করে ১৫ সদস্য একটি বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, কন্ডাক্টর মোঃ আজিজুর রহমান, আব্দুল খালিক, মুজিবুর রহমান, মোঃ বয়াত উল্লা, শাহ আলম বুলবুল দুলুর, গোলাম হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক রাকিল হোসেন, মোঃ ছনর মিয়া, জসিম উদ্দিন, আমিনুর রহমান স্বপন, মোঃ সুফি মিয়া, ইয়াহিয়া খাঁন। উল্লখ্য, চলতি অর্থবছরে কর্মসংস্থান কর্সূচির প্রথম পর্যায়ের কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করায় মেম্বারগণ প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ শে নভেম্বর শেষ হয়েছে বলার সাথে সাথে মেম্বারগণ প্রতিবাদ করেন। মেম্বারগণ প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির খবর জানার কারণে প্রতিবাদ করেন। চেয়ারম্যান তড়িগড়ি করে নিজের নামে একটি ও দুইটি ওয়ার্ডে ৩/৪টি প্রকল্প তৈরী করার অভিযোগ করেন তারা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়। এরই প্রেক্ষিতেই একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার কল দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর