,

হবিগঞ্জে খুনের মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ॥ ৪৫ জন খালাস ॥

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জে চাঞ্চলকর হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন গতকাল বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রধান করেন। দন্ডিতরা হলো, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের আউড়া গ্রামের মোতাব্বির, সুলতান, আলী হায়দার ও গফুর। এ ছাড়া মামলার সাক্ষীদের মারপিট করে জখম করার অভিযোগে আসামি ফরিদ মিয়া, সোহাগ মিয়া, মালেক, দুলাল, ফুল মিয়া, কাইয়ুম ও রমিজ মিয়াকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড, প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামি সিতার, শহীদ, ওয়াহিদ, আহাদ, শফিক, তৈয়ব আলী ও নায়েব আলীকে এক বছরের কারাদন্ড, প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাস কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জনৈক ফুল মিয়ার বাড়িতে ২০১২ সালের ২ আগস্ট দিবাগত রাত ২টায় একদল লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ফুল মিয়ার মা কুটিজান বিবিসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত কুটিজান বিবিকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে ফুল মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত করে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর হিসেবে মামলাটি এক পর্যায়ে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ায় তা পুনরায় হবিগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২১ সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা পর্যালোচনার পর বিচারক বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডিশনাল পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচলনা করেন এ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান।


     এই বিভাগের আরো খবর