,

শীতের পোশাকে জমে উঠেছে নবীগঞ্জের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো

সংবাদদাতা ॥ আজ বাংলা পৌষ মাসের ১১ তারিখ। শীত কড়া নাড়ছে। নবীগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে-সাথে ভিড় বাড়ছে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। বিশেষ করে  শিশু ও বয়স্কদের কাপড় চোপড় কেনার চাহিদা সবছেয়ে বেশি। এসব পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শীতের নানা পোশাক। নিজেদের সাধ্যের ভিতরে পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা। অন্যদিকে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভেও হাসি ফুটছে বিক্রেতাদের মুখে। সরজমিনে দেখা যায়, শীত উপলক্ষে নবীগঞ্জ পৌর শহরের নতুন বাজার, ওসমানী রোড, মধ্য বাজার, শেরপুর রোডের হকার মাকেটসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে বেশ জমে উটেছে পুরাতন কাপড় বেচার এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান। যেখানে রীতিমত ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মোঃ আব্দুল মালিক বলেন, এ বছর শীত একটু বেশি তাই দোকানে শীতের কম্বল, সোয়েটার, শিশুদের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এতে করে আমাদের মোটামুটি ভালো লাভ হচ্ছে। হকার মাকেটের নিয়মিত ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া বলেন, টুকটাক করে শাড়ি, থ্রীপিছ, ওড়না বিক্রি করতেন। কিন্তু ঠান্ডার কারণে এখন তিনি তুলেছেন শীতের কম্বল, মেয়েদের সোয়েটার, ব্লেজারসহ শিশুদের পোশাক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সোয়েটার বেশি বিক্রি হচ্ছে। শীতের কাপড়ের বেচাকেনাও সন্তোষজনক। তার দোকানে ৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামের শীতের কাপড় আছে। শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা গোলাফ মিয়া, স্বপনা রানী দাশ, তারেক মিয়া বলেন, ঠান্ডা পড়ায় শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। এসব দোকানে সাধ্যেও ভেতর অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। নতুন কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড়ের দাম একটু বেশি। কিš’ পুরাতন কাপড়ের দোকানে কম মূল্যে তা পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে।


     এই বিভাগের আরো খবর