,

সকলের সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন উপহার দিতে চাই- জেলা প্রশাসক

মোঃ সেলিম তালুকদার ॥ হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, হবিগঞ্জ জেলা একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা। আশাকরি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। তিনি বলেন, আমি আশাকরি সকল প্রার্থী নির্বাচনী সকল বিধি বিধান মেনে চলবেন এবং নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেন, নবীগঞ্জ পৌরসভায় কোন ঝুকিপূর্ণ সেন্টার নেই তবে সকল সেন্টারকেই গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, পরে আবারও নিজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এন.এস.আই এর ডিডি, র‌্যাবসহ তাদের নিয়ে পরামর্শ করে ও মিটিং করার হবে। এছাড়া তিনি বলেন নির্বাচনের দিন যদি কোন প্রার্থী আগ্নেআস্ত্র বা কোন অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন। করলে জব্ধ ও আটক করে তার লাইসেন্স প্রথমে সায়য়িক ভাবে বাতিল করা হবে এবং পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে নবীগঞ্জ পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক আয়োজিত “নির্বাচনী আচরণ বিধি ও আইনশৃংখলা বিষয়ক সভায়” প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি নবীগঞ্জ বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল। প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী জাকিয়া আক্তার লাকি, কাউন্সিলর প্রার্খী ওহি চৌধুরী, নানু মিয়া, যুবরাজ গোপ, এটিএম রুবেল, রুহেল আহমেদ, মোঃ সুন্দর আলী, প্রাণেশ চন্দ্র দেব, জায়েদ চৌধুরী, শাহ ফজলুল করিম, মইনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম আচরণ বিধির বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্যে তিনি মাইকিং বিষয়ে মেয়রের ক্ষেত্রে পুরো পৌরসভা ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর এর ক্ষেত্রে নিজস্ব এলাকা এবং সাধারণ কাউন্সিলর এর বিষয়ে শুধু তাদের ওয়ার্ড নিয়ে মাইকিং করার নির্দেশনা এবং বিশেষ করে আযানের সময়ে যেন মাইকিং না করা হয় সে ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সকল প্রার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করা হয় যে, যদি কোন প্রার্থীর পোষ্টার লিফলেট দেয়াল বা ওয়ালে লাগানো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এগুলি উত্তোলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জীবন্ত কোন প্রতীক নিয়ে প্রচারণা করা যাবে না। প্রত্যেক প্রার্থী একটি করে ক্যাম্প করতে পারবেন। কোন প্রার্থী মোটর সাইকেল শোভা যাত্রা করতে পারবে না। প্রশাসন বা পুলিশের অনুমতি ছাড়া মিছিল বা বড় ধরণের মিটিং করতে পারবে না। একাধিক মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন প্রার্থী কোন ধরণের উপটোকন বা অর্থ সহ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ঘোষনা বা প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। নির্বাচনে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিট নিয়োগ হয়েছে। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটাণিং অফিসার দেবশ্রী দাস পার্লি, মেয়র প্রার্থী গোলাম রসূল চৌধুরী রাহেল, মাহবুবুল আলম সুমন, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী সৈয়দা নাসিমা সুলতানা, শেলি বেগম, রাজিয়া বেগম, মোছাঃ তৈয়মুনেচ্ছা, মোছাঃ রোকেয়া বেগম, মোর্শেদা আক্তার, পূর্নিমা রানী দাশ, রওশানার বেগম, পারজানা মিলন পারুল, স্বপ্না বেগম, শামেলা বেগম, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন, বাবুল দাশ, সন্তুষ দাশ, আলমগীর হোসেন চৌধুরী, দিব্যেন্দু দেব, মোঃ কবির মিয়া, রুহুল আমিন রফু, ফখরুজ্জামান তালুকদার বুলবুল, জায়েদ চৌধুরী, শেখ আবুল কাশেম, আল-আমিন চৌধুরী, ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী, এটিএম সালাম, লুৎফুর রহমান মাখন, আব্দুস সোবহান, সুহেলুজ্জাম, ইছমত মিয়া, সাহেদুর রহমান, আকমল আজাদ টিটু, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রুহেল, ফজল আহমদ চৌধুরী, শেখ জগলুল হাসান, শাফি মিয়া তালুকদার প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর