,

বিআরটিসির বাস কমানো হলেও কমেনি বাঁধা

জুয়েল চৌধুরী ॥ শ্রমিকদের চাপের মুখে সিলেট-হবিগঞ্জ ও সিলেট-শ্রীমঙ্গল রুটে বিআরটিসির বাস কমানো হলেও বাঁধা কমেনি। হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন বাসের চালক ও শ্রমিকরা অজুহাত খোঁজে কোনো না কোনো বাঁধা প্রদান করছেন। আর এতে করে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, ওই লাইনে চলাচলত হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন বাস শ্রমিকরা হিংসাত্মকভাবে বাঁধা প্রদান করছেন। তবে হবিগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানিয়েছেন বাঁধা দেয়া হয়নি। প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে। জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় সিলেট যাওয়ার পথে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজে বিআরটিসি বাসকে আটকে দিতে দুইটি বাস দাড় করিয়ে গতিরোধ করে। এতে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মুহুর্তের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উভয় রুটে তিনটি করে বিআরটিসি বাস চলাচল করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর সিলেট-শ্রীমঙ্গল ও সিলেট-হবিগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে এ দুই রুটে বিআরটিসির বাস চলাচলে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। আর শুরু থেকেই সাধারণ যাত্রীরা বিআরটিসির বাসকে স্বাগত জানিয়ে আসছিলেন। এরপর ২৭ ডিসেম্বর সকালে সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলগামী বিআরটিসির একটি বাস নানা বাধা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছলেও সকাল সাড়ে ৯টায় হবিগঞ্জের উদ্দেশে আরও একটি বাস ছাড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। এমনকি বাসটি ছাড়ার প্রাক্কালে সাধারণ পরিবহন শ্রমিক নেতারা এতে বাধা দেয়। এ সময় বিআরটিসির কাউন্টারে হামলা চালিয়ে ডিপো ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলীকে লাঞ্ছিত করে তারা। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- এ সময় পরিবহন শ্রমিকরা তাদের একটি ল্যাপটপ ও নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রশাসন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক শেষে সমঝোতার পথে হেঁটেছে প্রশাসন।


     এই বিভাগের আরো খবর