,

শসার যেসব উপকারিতা

সময় ডেস্ক ॥ আজকাল সারাবছরই শসা পাওয়া যায়। সালাদ তৈরির ক্ষেত্রে এর জুড়ি নেই। এর পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। সহজপ্রাপ্য শসা দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখলে পাওয়া যায় অনেক উপকারিতা। যেমন-
শরীর আর্দ্র থাকে: শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ঠিক রাখতে আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। এ কারণে দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি ও অন্যান্য তরল গ্রহণ আবশ্যক। শসা এমন একটি ফল যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শসায় শতকরা ৯৬ ভাগ পানি থাকায় এটি শরীরে দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। ফল এবং শাকসবজির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পাওয়া গেলে শরীরের কোষগুলো যথাযথ পুষ্টি লাভ করে। এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং সারাদিন কর্মক্ষম থাকা যায়। দিনের যেকোন সময় এ ফলটি হালকা নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। ওজন কমাতে সহায়ক: প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত শসা খেতে পারেন। এটা খুবই হালকা ও সহজ ধরনের খাবার হওয়ায় যেকোন সময় খাওয়া যায়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও পানি থাকায় এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এই ফলটিতে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। এছাড়া সবুজ রঙের এ ফলটিতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামও পাওয়া যায়। এতে কোনো ধরনের ফ্যাট থাকে না। নিয়মিত এ ফলটি খেলে দ্রুত ফ্যাট ঝরে।
অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়: যদি কেউ ঘন ঘন অস্থিসন্ধির ব্যথা, পেশির ব্যথায় ভোগেন তাহলে দিনের খাদ্যতালিতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শসা রাখতে পারেন। এটি শুধু ত্বকের জন্যই ভালো নয়, হাড় ও মাংসপেশির জন্যও উপকারী। শরীরের অন্যান্য ব্যথা কমানোর জন্যও শসা ভালো কাজ করে।
মাড়ির জন্য ভালো: শসা এমন একটি ফল যা মুখে অ্যাসিডের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে, পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে কম সময়ের মধ্যে ছোটখাটো কাটা এবং ক্ষত প্রতিরোধ হয়। নিয়মিত শসা খেলে মাড়ির রোগ এবং দাঁতের অসুস্থতার ঝুঁকি কমে।
টিস্যু তৈরি করে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শসা রক্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে, ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলির সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটি দেহে টিস্যু বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
টক্সিন বের করতে সহায়তা করে: শসা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: শসায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


     এই বিভাগের আরো খবর