,

উন্মুক্ত হলো মানিক চৌধুরী পাঠাগার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হল বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার। গত রবিবার সকালে ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা ৩ জন শহীদ পরিবারের সন্তান উপস্থিত থেকে ১১ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক বই, শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়ার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়েছে। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত উপলক্ষে হবিগঞ্জ শহরের স্টাফ কোয়ার্টারস্থ কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার ও হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মিলাদ মাহফিল এবং এর পরবর্তীতে ৭ দিন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা ও সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। পাঠাগার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী ১৩ ফেবুয়ারী, ২০২১। দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছেন পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, বায়ান্নর ভাষা সংগ্রামী কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর মৃত্যু’র ৩০ বছর পর একটি স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। নিশ্চয়ই মানিক চৌধুরী পাঠাগার নতুন পাঠক গড়ে তুলবার পাশাপাশি বাঙ্গালির ঐতিহ্যগত। ঋতি নীতি নতুন প্রজন্¥ের কাছে তুলে ধরবে।বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী বলেন, মানিক ভাই অত্যন্ত সাহসী একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার নেতৃত্বে বঙ্গন্ধুর নির্দেশনাকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল আহসান বলেন, মানিক ভাই অত্যন্ত নিঃস্বার্থ একজন মানুষ ছিলেন, অত্যন্ত সাহস নিয়ে ও ভালবাসা নিয়ে আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতেন। শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের অবঃ অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য্য বলেন, বঙ্গন্ধুর ডাকে হবিগঞ্জে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর সাথে শেরপুর-সাদিপুর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম। নারী মুক্তিযোদ্ধা রাজিয়া খাতুন বলেন, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর মেয়ে কেয়া চৌধুরী নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি আমাদের জন্য দান করেছেন। এই জাদুঘর আমাদের সকলের জাদুঘর। শহীদ সন্তান ছোরাব বলেন, হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাথে আমরা সব সময় থাকবো। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ বলেন, এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার মানিক চৌধুরীর কন্যা কেয়া চৌধুরীর মাধ্যমে গড়ে উঠছে কিন্তু এটি কাজ করবে সবার জন্য। আমি কেয়া চৌধুরীর সাথে কাজ করি কারণ সে যখন যে কাজ করে দেশাত্মবোধ নিয়ে কাজ করে। আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্ত বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মানিক চৌধুরীর নাম অনুপ্রেরণামূলক এই কারণে তিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য ছাত্রনেতা হিসাবে হবিগঞ্জে প্রথম কারাবরণ করেন আর চা-শ্রমিকদের নিয়ে বঙ্গন্ধুর নির্দেশে তীরান্দাজ বাহিনী গড়ে তুলেন। উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, মৌলদ হোসেন কাজল, সিরাজ মিয়া, মনসুর আলী, আব্দুর রফিক, সফিউল আলম, শেখ আব্দুল কাইয়ুম, ছিদ্দিক আলম, তৈয়ব খান, ইসহাক মিয়া, আব্দুর রব, তাহের মিয়া, জিয়াউল আহসান, নুরুল হক, গোলাম রাব্বানী, সাজেন্ট আব্দুল আলী, হুমায়ুন কবির, মেজর মামুন উর রশিদ, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা রাজিয়া খাতুন, ছাবেদা বেগম প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর