,

দালাল মাসুক ও বাবা মকছুদের দৌড়ঝাপশায়েস্থাগঞ্জের আলোচিত জ্বীনের বাদশা বাবুলে জামিন না মঞ্জুর ॥

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্থাগঞ্জের আলোচিত জ্বীনের বাদশা বাবুল চিশতী ওরফে রবি চিশতীকে (৩৫) জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত গতকাল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আতাবুউল্লাহ আদালতে জামিনের আবেদন করলে তার বিরোদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট থাকায় জামিন না মঞ্জুর করে আগামী ১৪ ই এপ্রিল পুনরায় শুনানীর তারিখ ধার্য করেন। রাষ্ট্র্য পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আকবর হোসেন জিতু। বাবুল কে কারাগারে পাঠানোর পর তার বিভিন্ন অপকর্মের কাহিনী বেরিয়ে আসছে। মামলার বিবরণে জানাযায়, ওই গৃহবধূর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর গ্রামে। সে ধর্মান্তরিত হয়ে ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করে। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্বামী বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ভালবেসে বিয়ে করা স্বামীকে হারিয়ে মেয়েটি পাগল প্রায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ওই যুবতী বধূ সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজারে আসে স্বামীকে খুঁজে পাবার আশায়। সেখানে জ্বীনের বাদশা বাবুলের নিয়োজিত দালাল ইমাম বাড়ীর মাসুক মিয়ার ও বাবা মকছুদ আলীর সাথে পরিচয় হয়। সে মেয়েটিকে জানায়, আপনি যদি জ্বীনের বাদশা বাবুল চিশতীর কাছে যান, তাহলে ২৪ ঘন্টার ভেতরে আপনার মনের বাসনা পূরণ হবে এবং স্বামী ফিরে আসবে। এমন কথা বলে ওই দালাল একটি কার্ড দেয়। ওই কার্ড নিয়ে সম্প্রতি মেয়েটি শায়েস্থাগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামে মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র জ্বীনের বাদশা বাবুল চিশতীর কাছে আসে। ওই সময় বাবুল মেয়েটিকে আন্ডারগ্রাউন্ড ঘরে নিয়ে বলে তোমার শরীরে জ্বীনের আছর আছে। সারাতে হবে। এ কথা বলে তার কাপড় ছোপড় খুলে ঝাড়ঁফুক শুরু করে এবং চুপ থাকতে বলে। এক পর্যায়ে বাবুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং বলে এ কথা কাউকে বললে তার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। তোর স্বামী ২৪ ঘন্টার ভিতর ফিরে আসবে। এ অবস্থায় মেয়েটি বুঝতে পারে সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। তখন সে বিষয়টি শায়েস্থাগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ বাবুলকে গ্রেফতার করে এবং তার ব্যবহৃত আড়াই লাখ টাকা দামের মোটর সাইকেলটি আটক করে। এর পর থেকে জ্বীনের বাদশা বাবুল কারাগারে রয়েছে। এদিকে গতকাল কোর্টে তার দালাল মাসুক ও বাবা মকছুদ কে দৌড় ঝাপ করতে দেখা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর