,

বিজিবির হাবিলদার লুৎফরকে নিয়ে শঙ্কা

সময় ডেস্ক ॥ বিজিবির হাবিলদার লুৎফরকে টার্গেট করেছে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। সময়, সুযোগ পেলেই তাকে অপহরণ করতে পারে। অপহরণ করতে পারলে হত্যাও করবে। বিজিপির সদস্যরা তাকে খুঁজছে। বিজিবির সূত্র জানায়, মিয়ানমারের বিজিপির কর্মকর্তাদের ইয়াবা ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্যই তারা তাকে টার্গেট করেছে। তাকে পেলে তারা হত্যা করবে বলে ঠিক করেছে। বিজিপির এই পরিকল্পনা জানতে পেরেছেন অপহরণের শিকার হওয়া নায়েক রাজ্জাক। তিনি দেশে ফিরে এই তথ্য তার অধিনায়ক, ও সদর দপ্তরে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বলেছেন। বলেছেন, বিজিপি মনে করেছিল আমিই লুৎফর। তিনি বলেছেন, বিজিপির সদস্যরা হাবিলদার লুৎফর মনে করে আমাকে অপহরণ করে। আমাকে ধরে নিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। যখন তাদেরকে জানাই আমি রাজ্জাক। তখন তাদের ভাষায় জানতে চায় আমি লুৎফর কিনা। না সূচক জবাব দিলেও বিশ্বাস করেনি। কারণ যারা ধরে নিয়ে গিয়ছিল তাদের উপর নির্দেশ ছিলো লুৎফরকে পেলে হত্যা করা। আমার সামনেই বলেছেন ও লুৎফর হলে ওকে হত্যা করবে। বলেছে, ও লুৎফর হলে ওকে হত্যা কর। বিজিবির সদর দপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, রাজ্জাকের কাছ থেকে আমরা লুৎফরের বিজিপির টার্গেট হওয়া ও তাকে পেলে ওরা মেরে ফেলবে এই ঘটনা জানতে পারি। লুৎফর এখনও আমাদের ৪২ ব্যাটেলিয়নে কাজ করছে। তবে মিয়ানমার তাকে হত্যা করবে বলে ভীত হয়ে স্টেশন বদল করার মতো হাবিলদার লুৎফর নয়। কারণ তিনি অনেক সাহসী। পরীক্ষিত সৎ মানুষ। ধার্মিক। দেশপ্রেমকি। তাকে অনেকেই অনেক ভাবে ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা না দেওয়ার জন্য ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। তিনি বলেন, লুৎফর বিজিপির কাছে একটা আতঙ্ক। কারণ তারা জানে যে তিনি যে পয়েন্টে দায়িত্বে থাকবেন সেখানে ইয়াবার কোন চালান আসার চেষ্টা করলে ধরা পড়বেই। তিনি জানান, মাদক দ্রব্য চোরাচালান রোধে লুৎফর অনন্য সাফল্য দেখিয়েছেন। ২০১২ সালে ও ২০১৩ সালে বিজিবিতে তিনি সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। এই জন্য বিজিবির সবোর্চ্চ পদক পেয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রথম অবস্থানটি ধরে রাখতে না পারলেও মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বন্ধে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেন। তিনি পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি বিজিবির মহাপরিচালকের তরফ থেকে পুরস্কার হিসাবে যে প্রশংসা পত্র দেওয়া হয় সেটাও লাভ করেছেন। গত তিন বছরে তিনি ইয়াবা আটকের ঘটনায় চমক দেখান। এখানে তিন প্রশংসা আর পুরস্কার পেলেও লুৎফর ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গত তিন বছর ধরেই তারা লুৎফরকে টার্গেট করেছে নিয়ে যাওয়ার। পারেনি। ৪২ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, লুৎফরকে টার্গেট করেছে বিজিপি। তারা সুযোগ পেলে তাকে অপহরণ করবে, এই আশঙ্কা আমাদেরও রয়েছে। তবে এই ভয়ে পিছিয়ে গেলে হবে না। আমাদেরকেতো কাজ করতে হবে। লুৎফরের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে অন্য স্টেশনে বদলী করার কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানত চাইলে লে. কর্নেল জাহিদ বলেন, সেই রকম কোন পরিকল্পনা এখনও নেই। তাকে টার্গেট করা হলো আমরা সরিয়ে নিলাম এমন হলে এরপরতো তারা একের পর একজনকে টার্গেট করবে আর আমাদেরকে তাদেরকে সরিয়ে নিতে হবে। সেটা হবে না। তাকে রেখেই এটা আমরা বোঝাতে চাই তারা ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করলে লুৎফর, রাজ্জাকরা রয়েছে যারা ইয়াবা আসলেই চালান আটক করবেই। লুৎফর ভীত কিনা এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইও বলেন, তিনি অনেক বেশি সাহসী। কোন কিছুতেই ভয় পান না। বিজিপি ধরে নিয়ে যেতে পারে এটা তিনি জানার পরও কোনদিন কাজে পিছপা হননি। তবে তিনি ভীষণ সতর্কভাবে কাজ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর