,

নবীগঞ্জে দালান ঘর বাণিজ্য! ইউপি সদস্যসহ গংরা গা ডাকা দিলেও আবারও সচ্চার

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালান ঘর। এ সংক্রান্ত খবর গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় সপ্তাহখানেক কাজ বন্ধ ও ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানগংরা গা ঢাকা দিলেও আবারও তারা একই নিয়মে তাদের কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জিল্লুর মেম্বার গংদের কুটির জোর কোথায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর। জানা যায়, ৬০/৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালান ঘর করে দিচ্ছেন ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান। প্রতিটি ঘর সম্পন্ন করতে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। ঘর প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কোন কোন ঘরের জন্য জিল্লুর মেম্বারকে ১ লক্ষ টাকার বেশী দিতে হয়। মাত্র ৬০/৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ঘর দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ঘরগুলো কোথায় থেকে আসছে জানেন না এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনমজুর থেকে শুরু করে কোটিপতিরাও ৬০/৭০ হাজার টাকা মেম্বারকে দিয়ে দালান ঘর নিয়েছেন। একটি বাথরুম, একটি পাকঘর ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট মেম্বারের দেওয়া এই ঘর গুলো পেতে প্রথমে বাড়ির দলিল এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন জরুরি কাজগ পত্র মেম্বার জিল্লুরকে দিতে হয়। এ ঘটনায় উপজেলাব্যাপী জনগনের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সচেতন মহলের দাবী, মেম্বার জিল্লুর রহমান অদৃশ্য যে সংস্থার মাধ্যমে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন, সে সংস্থার নাম, কারা সংস্থার সাথে জড়িত জিল্লুর মেম্বার ছাড়া কেউই জানেনা। মেম্বার প্রমাণ রেখে টাকা নিচ্ছেননা। এটা নিচক একটি প্রতারনা। এ থেকে মানুষকে সচেতন হতে হবে। ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান বলেন, আমি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। সংস্থার নাম প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করেন। ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ বলেন, সরকার থেকে আমার এলাকায় এরকম কোনো ঘর আসেনি। তবে আমি শুনেছি কোনো একটি সংস্থা ঘর গুলো দিচ্ছে। সংস্থার নাম আমাকে জিল্লুর মেম্বার আমাকে বলেনি। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, এই ঘর সরকারী বরাদ্দকৃত নয়। জেনেছি কোন সংস্থার মাধ্যমে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে। তদন্ত করে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে। নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী বলেন, যারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকবে। তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর