,

ঘুষ কেলেংকারি তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের সা?বেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরু?দ্ধে ঘুষ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ তদ?ন্তে উচ্চ পর্যা?য়ের ক?মি?টি গঠন করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সা?বেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরু?দ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষ?য়টি তদ?ন্ত কর?তে ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খানের নেতৃ?ত্বে ৫ সদস্যবি?শিষ্ট তদন্ত কমি?টি গঠন করা হ?য়ে?ছে। ক?মি?টির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হ?বে। এর আগে ঘুষ কে?লেংকা?রির অভিযোগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে সরিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দেওয়া হতো। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদেরও পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দেওয়া হতো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক পাঁচদিনের রিমান্ডে নিলে তিনদিনের মাথায় গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক ওই জবানবন্দি দেন তিনি।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদুল হক বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দিতে হতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা করে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অনিয়ম ম্যানেজ করতেন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।


     এই বিভাগের আরো খবর