,

লাখাইয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন

লাখাই প্রতিনিধি ॥ লাখাই থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকার পুলিশ হেফাজতে ৪৮ ঘন্টা পর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও আদালতে জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত-৭ এ ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার চাঁদনীর জবানবন্দি নেয়া হয়। জবানবন্দি শেষে তার পিতা লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের হাজি জানে আলমের জিম্মায় তাকে দেয়া হয়। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ মতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় প্রেমিকা চাঁদনীকে নিয়ে প্রেমিক একই উপজেলার রুহিতনশী গ্রামের খায়রুল আলমের পুত্র ঢাকার বেল্ট ব্যবসায়ী তানভীর আলম (২২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন -২ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় ভিকটিম চাঁদনী আক্তারের মৌখিক জবানবন্দি নেয়া হয়। এ সময় সে জানায় তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে তানভীরকে ভালোবাসে। তার সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক। সে স্বেচ্ছায় তার সাথে পালিয়ে গিয়ে ১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের কোর্টে এফিডেভিট করে বিয়ে করে। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে চাঁদনীর পিতা ও কিছু যুবক চাঁদনীকে আদালত এলাকা থেকে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে লাখাই থানা পুলিশ এসে আদালতের অনুমতি নিয়ে ভিকটিম চাঁদনীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। ৪৮ ঘন্টা হেফাজতে রাখার পর অবশেষে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর সকালে চাঁদনী আক্তার একই এলাকার সফি রহমানের পুত্র তানভীরের বন্ধু শাকিল আহমেদের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার নারায়ণগঞ্জে তানভীর আলমের কাছে যায়। সেখানে যাবার পর ওইদিনই তারা বিয়ে করে। মেয়েকে না পেয়ে তার পিতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অবশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর তানভীর, শাকিলসহ ৪/৫ জনকে আসামি করে লাখাই থানায় অপহরণের মামলা করেন। এরপর পুলিশ তানভীরের বন্ধু শাকিলকে ২৪ জানুয়ারি ধ”ত করে আদালতে প্রেরণ করলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় এবং বলে চাঁদনী স্বেচ্ছায় তানভীরকে বিয়ে করেছে। সে শুধু চাঁদনীকে লাখাই থেকে তানভীরের কাছে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার বলেন, গতকাল শনিবার ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি শেষে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন আছে। এদিকে আসামী পক্ষের ভিকটিমকে ২৪ ঘন্টার বেশি পুলিশ হেফাজতে রাখার নিয়ম নেই। কিন্তু পুলিশ ৪৮ ঘন্টা রেখে আইন ভঙ্গ করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর