,

চুনারুঘাটে মামিকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতে রাজি না হওয়ায় খুন হয় কিশোর সোহাগ

সংবাদদাতা ॥ মামিকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতে রাজি না হওয়ায় চুনারুঘাট লালচান্দ চা বাগানের সোহাগকে (১৩) হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফজলু মিয়াকে (২৫) দীর্ঘ আড়াই মাস পর চুনারুঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতারের পর নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রগুনন্দন রাবার বাগানের গোপন আস্তানা থেকে ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ফজলু মিয়া উপজেলার লালচান্দ গ্রামের নবীর হোসেনের ছেলে। চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ জানান, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সোহাগকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাঁশবাগানের ধোপাছড়া খালের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত রঙ্গু মিয়ার ছেলে রাজু নামের একজনকে আটক করে। পরে ৬ ডিসেম্বর সোহাগের মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বকর খান জানান, সোহাগের বাবা হিরণ মিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে সোহাগের মা আছমা তার সন্তানদের নিয়ে দুবাই প্রবাসী ভাই আল-আমিনের বাড়িতে বসবাস করতেন। মামা প্রবাসে থাকায় সোহাগের মামির প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে পাশের বাড়ির তিন যুবকের। যুবকরা কৌশলে সোহাগকে ডেকে নিয়ে বলে তার মামিকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়াতে। তিনি জানান, সোহাগ তাদের কথায় রাজি না হয়ে তার মা ও মামিকে জানায়। এরপর থেকে আসামিরা সোহাগের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ঘর থেকে সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এসআই আবু বকর খান জানান, পর দিন ৫ ডিসেম্বর নানাবাড়ির বসতঘরের পশ্চিম দিকে ধোপাছড়া খালের পানিতে গামছা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় সোহাগের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।


     এই বিভাগের আরো খবর