,

নবীগঞ্জের সিএনজি শ্রমিক বেলাল হত্যার আসামী ইলিয়াস কারাগারে

স্টাফ রিপোটার ॥ নবীগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঞ্চল্যকর সিএনজি শ্রমিক বেলাল হত্যাকান্ডের আরো এক আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গত বুধবার আসামী ইলিয়াছ মিয়া হবিগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। সে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের ওয়াতির উল্লার পুত্র। উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বিকালে শহরের শেরপুর রোডস্থ মা-হোটেল ও মাইওয়ান ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে দাড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়া’র নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। নির্মম এ হত্যাকান্ডে নিহতের পিতা সাবেক পত্রিকা হকার মোঃ ফারুক মিয়া বাদী হয়ে বিগত ২৮ এপ্রিল নবীগঞ্জ থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতিপুর্বে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ১০ জন আসামী আদালতে আত্মসর্মপন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করে। এদের মধ্যে ৭ জন কারাগারে ও ৫ জন জামিনে রয়েছে। বাকী ১৬ জন আসামী গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। গত বুধবার ইলিয়াস মিয়া সকালে হবিগঞ্জে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কৌশলীদের বক্তব্য শুনে ইলিয়াসের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তবে এখনও বেলাল হত্যার প্রধান আসামীসহ ১৬ জন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে নানা স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে সুত্রে জানা গেছে। নিহত বেলাল মিয়া পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের সিএনজি ম্যানাজার ও সাবেক হকার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং নবীগঞ্জ সংবাদপত্র এজেন্ট মোশাহিদ আলী ও মিয়াধন মিয়ার ভাতিজা। ঘটনার ৬৫ দিন অতিবাহিত হলেও নিহতের পরিবারে কান্নার রুল এখন থামছেনা। এছাড়া অপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।


     এই বিভাগের আরো খবর