,

অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায়, মাধবপুরে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

সংবাদদাতা ॥ মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দেবী প্রসাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।গত বুধবার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সূত্র জানায় , ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দেবী প্রসাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত।আর এতে প্রতিনিয়ত ভােগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । অফিসের টেবিলে বসে প্রতিদিন প্রকাশ্যে ঘুষ নিয়ে থাকেন তিনি । ঘুষ না দিলে ফাইল নড়ে না তার টেবিল থেকে। ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা কেউ তার অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই ওই ভূমি কর্মকর্তা একটি প্রভাবশালী দালাল চক্রকে লেলিয়ে দেন প্রতিবাদকারীদের পেছনে । স্থানীয়রা জানান, দেবীপ্রসাদ অফিসে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন,তিনি কারোই পরোয়া করেন না।
এবিষয়ে ২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে জমির খাজনা দিতে আসা এক ব্যক্তির কাছে তিনি খাজনা বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন । যার মধ্যে তিনি গ্রাহককে ১০ হাজার ৬ শ ‘ টাকার রশিদ প্রদান করবেন । অবশিষ্ট টাকা ঘুষ হিসাবে যাবে তার পকেটে । কিন্তু ভুক্তভােগী ঘুষ বাদ অতিরিক্ত ৯ হাজার ৪ শ ‘ টাকা দিতে আপত্তি জানালে তহশিলদার দেবী প্রসাদ কর তাকে খাজনার রশিদ না দিয়েই ফিরিয়ে দেন। নিরূপায় হয়ে ওই গ্রাহকও ফিরে যান বাড়িতে । এসংক্রান্ত একটি নিউজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানাযায় , দেবী প্রসাদ নােয়াপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যােগদান করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে । ভুক্তভােগীরা অভিযোগ করে বলেন , তার ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি ও নিজের নিয়ােজিত দালাল সিন্ডিকেটের উৎপাতে তারা অতিষ্ট । এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বাধন নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন , জমির খাজনা বাবদ ৫ হাজার টাকা নিলেও রশিদ দেন মাত্র ২ হাজার টাকার এবং অডিট বাবদ দাবি করেন বাকি টাকা ।ওই ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা আরেক ভুক্তভোগী সুমন মিয়া জানান , নাম খারিজের জন্য ওই ভূমি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি ঘুষ না দেয়ায় তার ফাইল আটকে রেখেছেন দীর্ঘদিন । এছাড়াও নামজারি ও অন্যান্য প্রয়োজনে আগত ব্যাক্তিরা ঘুষ ছাড়া ফাইল না নড়ার অভিযোগ করেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত দেবী প্রসাদকে ফোন করলে তিনি ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করলেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর