,

ইতিহাসের অপেক্ষায় মাশরাফিরা

সময় ডেস্ক ॥ ২০০৭ বিশ্বকাপের জয়টিই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র সুখস্মৃতি। আর জয় নেই কোনো। দেশের মাটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে কোচেরও বিশ্বাস, ইতিহাস বদলে দেওয়ার আদর্শ সময় ও সুযোগ এসেছে এবার। বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এখন আর চমক নয়। মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতছে নিয়মিতই। তবে দুটি দলের বিপক্ষে এখনও সেটি জোর দিয়ে বলার জো নেই; দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় যে মাত্র একটি করে। কার্ডিফে ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে মোহাম্মদ আশরাফুলের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়া বধ; ২০০৭ বিশ্বকাপে সেই আশরাফুলেরই আরেকটি অসাধারণ পারফরম্যান্সে সেই সময়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। বড় এই দুই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি বলতে এই। তিন সংস্করণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৬ ম্যাচে আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৪ ম্যাচে সবেধন নীলমনি ওই একটি করে জয়। এবার উন্নতির ধারায় থাকা বাংলাদেশ দল নিজ দেশেই পাচ্ছে এই দুই দলকে। আগামী সেপ্টেম্বরে আসবে অস্ট্রেলিয়া, তাদের নিয়ে ভাবনাটাও তাই পরে। দক্ষিণ আফ্রিকা চলে এসেছে বাংলাদেশের আঙিনায়, আপাতত হিসাব-নিকাশ চুকানোর পালা প্রোটিয়াদের সঙ্গে। দেশের মাটিতে ১০ ম্যাচ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে মিরপুর টেস্টে ৫ উইকেটের হার বাদ দিলে বাকি সব ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছে বাজেভাবে। এমনকি দুই দলের সবশেষ দেখাতেও বাংলাদেশের হয়েছিল বিব্রতকর অভিজ্ঞতা। ২০১১ বিশ্বকাপে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৪ রান তাড়ায় বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ৭৮ রানে! তবে সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশের পার্থক্য অনেক। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি জানালেন, এবার সুযোগ এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ড একটু ভদ্রস্থ করার। “ওয়ানডেতে আমরা এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী এক দল। জয়ের জন্যই মাঠে নামি আমরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জিততেই নামব। তবে আগেও যেমন বলেছি, কাজটি কঠিন। ভারতের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক ভারসাম্যপূর্ণ দল। তবে আমরাও ভালো খেলছি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।” দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটিকে নিজেদের মূল্যায়নের চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখছেন মাশরাফি। “পাকিস্তান-ভারতকে পরপর সিরিজে হারানোর পর সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জটাই এখন আমাদের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ দল। এই সিরিজ খেললে আমরা নিজেদের অবস্থানটা বুঝতে পারব।” ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৬৭ রানে জয়ের ম্যাচে খেলেছিলেন মাশরাফি। আশরাফুলের ৮৩ বলে ৮৭ রানের ইনিংসটার পাশাপাশি মাশরাফির ১৬ বলে ২৫ রানে বাংলাদেশের রান ছাড়িয়েছিল আড়াইশ’। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে তামিম ইকবাল করেছিলেন ৩৮ রান। সেই ম্যাচের স্মৃতি এবার ফিরিয়ে আনতে চান তামিম। “অবশ্যই এবার সেরা সুযোগ আমাদের। আমরা যেভাবে খেলছি, সবার আত্মবিশ্বাস এখন দারুণ।


     এই বিভাগের আরো খবর