,

সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ

সংবাদদাতা ॥ সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল সিলেটে ৩ মাসের মধ্যে সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ ছিল। ৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন মহামারি করোনায়। হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ। প্রায় ৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সিলেটের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসিইউতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর তাগিদ দিয়েছেন সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন- মুখে মাস্কপরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সিলেটের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এক বছর হতে চললো করোনার। এই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮০ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৬৮ জন। গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনায় বিপর্যস্থ ছিল সিলেট। ওই সময় মৃত্যুর সংখ্যাও খুব বেশি। আগষ্ট থেকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে সিলেটে করোনা পরিস্থিতি। শীত নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও সতর্ক থাকার কারণেই শীত মৌসুমে সিলেটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। সংক্রমণের হারও কমে এসেছিল নিচে। সিলেটে দু’টি ল্যাবে প্রায় আড়াইশ’ নমুনা পরীক্ষায় ৮-১০ জন আক্রান্ত হতেন। মৃত্যুর মিছিলও থেমে যায়। ফলে করোনা নিয়ে স্বস্তি ফেরে সিলেটে। কিন্তু চলতি মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সিলেটে ফের করোনা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই সংখ্যা গতকাল ৪৫ জনে গিয়ে পৌঁছেছে। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে সিলেট জেলা। সিলেটে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়- গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) সিলেটে ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সিলেটে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০ জন। এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতালেও আরো ১০ জনের মতো রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- গত ৩ মাসের মধ্যে সিলেটে গত সোমবার ৩৪ জন ও বৃহস্পতিবার ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২২ জন। সে হিসাবে দিন দিন সিলেটে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। তারা বলছেন- সচেতনতা বাড়ানো না গেলে এবং জনসমাগমস্থল পরিহার ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে সংক্রমণের মাত্রা আরো বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন- সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতালেও রোগী বাড়ছে। সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতিও রয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে, গতবারের মতো এবার রোগী বাড়ার সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।সিলেটে এলেন আরো ১৫২ জন প্রবাসী: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সিলেটে আরো ১৫২ লন্ডন প্রবাসী সিলেটে এসেছেন। গতকাল সকাল ১০টায় বিজি-২০২ বিমানের ফ্লাইটে করে তারা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপর সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে প্রবাসীদের ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনের জন্য বাসযোগে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পাঠানো হয়। ১৫২ জনের মধ্যে ১৪৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ও ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে হোটেল ব্রিটেনিয়ায় ৩৫ জন, হোটেল অনুরাগে ২০ জন, হোটেল নূরজাহানে ১০ জন, হোটেল হলিগেটে ৩১ জন, হোটেল হলি সাইডে ২০ জন, হোটেল লা রোজে ৭ জন, হোটেল লা ভিস্তায় ১১ জন, হোটেল রেইন বো গেষ্ট হাউজে ৩ জন, রয়েল প্লামে ১০ জন।


     এই বিভাগের আরো খবর