,

ইনাতগঞ্জে সালেহা জামে মসজিদের জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও বরাবর অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে সালেহা জামে মসজিদের জাল দলির তৈরিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায় গত ২১ মার্চ ২০২১ইং সালেহা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রায় ৪০বছর পূর্বে ৬০/৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার পূর্বক এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণকে নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে সালেহা জামে মসজিদ নামে নাম করণ করা হয়। যথারীতি এলাকার মুসল্লীগণ মসজিদটি ভোগ ব্যবহার করে আসছেন এবং মসজিদের একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মসজিদ ও এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছে। তার পেক্ষিতে নিন্মে মসজিদের জায়গার তফশীলগুলি উল্লেখ করা হলো ১নং সুনাইত্যা মোস্তফাপুর মৌজা জে এল নং ১৮, খতিয়ান নং ৫৭৭, দাগ নং ৩২, শ্রেণী ডোবা রকম ভূমি, উত্তরে আমার নিজ, দক্ষিণে মসজিদ, পূর্বে বিল, পশ্চিমে আমার নিজ, ইহাতে ০.৭ শতক ডোবা রকম ভূমি। পরবর্তীতে ইবরাহীম উল্লা, পিতা: ওয়াব উল্লা, দলিল নং: ৩৩/১৯৮৯ইং। ১৮ শতক ভূমি মসজিদে ওয়াক্ফ করে দেন। তপশীল- মোস্তফাপুর মৌজা, জে এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং: ৩১, পূর্বে বিল, পশ্চিমে দ্বিতীয় দাগের ভূমি, উত্তরে নিজ ও কবরস্থান, দক্ষিণে ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ ইহাতে মোট ২১ শতকের মধ্যে ০.৭ শতক। ২য় দাগ জে এল নং- ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং ৩০ পূর্বে ১নং দাগের ভূমি, পশ্চিমে আমার নিজ, উত্তরে আমার নিজ, দক্ষিণে সরকারী হাসপাতাল ইহাতে মোট ৮৬ শতকের মধ্যে ১১ শতক আমন রকম ভূমি মোট ১৮ শতক। দলিল নং ১৪৮১/১৯৯০ইং মতিউর রহমান, পিতা: আতিক উদ্দিন, সাং মোস্তফাপুর, ইবরাহিম উল্লার কাছ হইতে ৩০ শতক ভূমি খরিদ করে মসজিদে দান করেন। তপশীল চতুর্সীমা মৌজা: মোস্তফাপুর, জে এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং ৩০, ৮৬ শতক এর মধ্যে বিক্রিত ৯ শতক। জে এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং- ৩১, ২১ শতক বাড়ীরকম ভূমি মোট ৩০ শতক। উল্লেখ্য যে, ইবরাহীম উল্লা দাগ নং ৩১, ভূমির পরিমাণ ২১ শতক দুই দলিলে মিথ্যাচার করে ২৮ শতক বিক্রি করেন। মূলত আশাহীদ আলী তার দাদা ওয়াব উল্লার ওয়াকফকৃত দলিলে ১নং সুনাইত্যা মোস্তফাপুর মৌজা, জে এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং ৩২, শ্রেণী: ডোবা রকম ভূমি ইহাতে ০.৭ শতক ভূমি চালাক চতুরী করে উনার নিজ নামে হাতিয়ে নেয়। মসজিদ কমিটি দাবি করে ওয়াব উল্লার ওয়াকফকৃত (দলিলে ০.৭ শতক + ১৪৮১ নং দলিলে আরো ০.৭ শতক) মোট ১৪ শতক। আশাহীদ ও জামাল গং দাগ নং- ৩৩ মসজিদ কমিটির ১৯৮৫ ইংরেজীর ভরাট জায়গা মিথ্যা ভূমিহীন বানিয়ে জামালের মাতা কাছতুলা বিবির নামে ভূমিহীন বানিয়ে নিয়ে নেয়। সেই জায়গাটি মসজিদের দখলে তখনও ছিল বর্তমানেও আছে। আশাহীদ ও জামাল গংরা মসজিদের ভরাটকৃত ভূমি নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে মসজিদ কমিটিকে হেনস্থা ও হয়রাণি করিয়া আসিতেছে। এস এ ফরচা ওয়াব উল্লা জে.এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং- ৩০, পরিমাণ ৮৬ শতক জে.এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং- ৩১, পরিমাণ ২১ শতক জে.এল নং ১৮, খতিয়ান ৫৭৭, দাগ নং- ৩২, পরিমাণ ৭ শতক।


     এই বিভাগের আরো খবর