,

করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ পালনে কঠোর হতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বিধিনিষেধ মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগে কঠোর হতে বলেছেন তিনি। মাস্ক পরার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন সরকারপ্রধান। সোমবার গণভবনে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন, ২০২১-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন, খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উৎসবভাতা প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চলমান লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধের বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে করোনার টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা সবাইকে কঠোরভাবে মানতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। করোনার সংক্রমণ রোধে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। লকডাউন দেওয়ায় আগের চেয়ে মানুষের আনাগোনা কমেছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বইমেলায় কঠোরভাবে নিয়ম মানা হচ্ছে। এর ব্যত্যয় হলে সরকার নতুনভাবে চিন্তা করবে। গণপরিবহনসহ অন্য কোথাও সরকারের নির্দেশনা অমান্য হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বছরে দুটি উৎসব ও বিজয় দিবসে ভাতা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা: খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার টাকা হারে বছরে দুটি উৎসব ভাতা এবং একই সঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিতদের মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে এখন থেকে সকল শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতার আওতায় আসবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে পাঁচ হাজার ২২২ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে চারটি (এ, বি, সি ও ডি) শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা। ৯৫২ জন মৃত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, ৫৮১৬ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং জীবিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পাচ্ছেন না। তিনি জানান, সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা হারে, ৬৮ বীরউত্তম পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে, ১৭৫ বীরবিক্রম পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে এবং ৪২৬ বীরপ্রতীক পরিবারকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং খেতাবপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পান না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বর্তমানে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পান।


     এই বিভাগের আরো খবর