,

নিম্নমানের কাঠ ও মাটি দিয়ে টাইলস লাগানোর সত্যতা পেয়েছি- এআইজি বিধান ত্রিপুরা

আর এইচ শাহিন ॥ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের তদন্ত টিমের শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা ভবন পরিদর্শন করেছে পুলিশ হেড কোয়াটারের একটি তদন্ত দল। গত ৯ এপ্রিল দৈনিক হবিগঞ্জ সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায় শায়েস্তাগঞ্জে হাইওয়ে থানার নির্মানাধীন ভবনে ফাটল, মাটি দিয়ে বসানো হচ্ছে টাইলস শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার নব-নির্মিত ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, টাইলস লাগানো হয়েছিল মাটি দিয়ে, এছাড়া ও নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট, রড, কাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল ভবন নির্মাণে। এসব অভিযোগ উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল নিয়াজ পার্কের বিরুদ্ধে। সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল বরিবার দুপুরে পুলিশের একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এ আই জি বিধান ত্রিপুরার নেতৃত্বে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও প্রকল্প পরিচালক বরকত উল্লাহ খান, হাইওয়ে পুলিশেরএসপি( প্রশাসন)রহমত আলী, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এএসপি) ওবায়দুল ইসলাম খান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্লা, সিলেট হাইওয়ে রিজনের পুলিশ সুপার(এসপি) শহিদউল্লাহ উল্লাহ, এএসপি শেখ মাসুদ করিম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি দক্ষিন সার্কেল) মাহফুজা আক্তার শিমুল, শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অজয় চন্দ্র দেব সহ আরো অনেকেই। তদন্ত দলের প্রধান পুলিশ হেড কোয়াটার এ আই জি বিধান ত্রিপুরা বলেন প্রাথমিক তদন্তে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভবনের কাজে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা নিম্নমানের কাঠ ও মাটি দিয়ে টাইলস লাগানোর সত্যতা পেয়েছি। নির্মাণধীন ভবনে ব্যবহার করা বালু ও মাটি ঢাকায় নিয়ে আমরা পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে সকল টাইলস তুলে নতুন করে টাইলস লাগানোর কথা বলা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর