,

নবীগঞ্জে গ্রেফতারকৃত উস্তার মেম্বারের উপর প্রতারণা মামলার তদন্তে মাঠে নেমেছে ডিবি পুলিশ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারকৃত আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাসান আলী ওরফে উস্তার মিয়া গংদের উপর দায়েরকৃত প্রতারণা মামলার সত্যতা উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। গত বুধবার বিকালে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একটি দল নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজার ও মামলার আসামী গ্রেফতারকৃত উস্তার মেম্বারের নিজ গ্রাম রায়পুরসহ বিভিন্ন স্তান মামলার তদন্তের স্বার্থে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উল্লেখ্য, গত রবিবার পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ উল্লেখিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াদুদ হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস.আই মোজ্জামেল হকের নিকট মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন। ফলে মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করবেন হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক। মামলা সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারস্ত বকুল মিষ্টি ঘরের সত্ত্বাধিকারী ব্যবসায়ী রোমন মিয়ার নিকট থেকে জায়গা বিক্রির কথা বলে উল্লেখিত আসামীরা ৭ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্ত জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। বিগত ২০১৪ সালে টাকা নিলেও ৭ বছর ধরে জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছেনা এবং টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী রোমন ও তার পরিবারকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয় আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ও আউশকান্দি বাজার এলাকার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ জজসহ স্তানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে শালিস বিচারে টাকা ফেরত দেয়ার রায় হলেও আসামীপক্ষ কর্ণপাত করেনি। পরে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী রোমান মিয়া আইনের আশ্রয় নেন। অবশেষে গত ৮ মার্চ রোমন মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে গত ১৬ মার্চ হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল আউশকান্দি বাজারে অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য উস্তার ও তার ভাতিজা শাহিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। উক্ত মামলায় দীর্ঘ একমাসের উপরে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে দিন যাপন করলেও এখনো টাকা ফেরত দেননি ইউপি মেম্বার উস্তার। উক্ত প্রতারণা মামলায় অপর আসামী গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য উস্তার মিয়ার ভাই প্রতারক মোশাহিদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডস্ত ডেবনার ব্রীজ সংলগ্ন এরাবরাক নদীর সরকারের খাস জমি দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এছাড়াও ইউপি সদস্য উস্তার মিয়া তার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দনি দৌলতপুর গ্রামে বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রামবাসীকে সংযোগ দিলেও অবৈধভাবে উৎকোচ এর টাকা ফেরত দেননি বলে জানা যায়। এনিয়ে ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন। উল্লেখিত ইউপি সদস্যের বিরুদ্বে সরকারী খাস ভূমি দখল মুক্ত করে আইনানুগভাবে ব্যবস্তা নিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর