,

নবীগঞ্জে সরকারীভাবে ধান সংগ্রহ শুরু

উত্তম কুমার পাল হিমেল ॥ নবীগঞ্জে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ বোরোধান সংগ্রহ ২০২১ শুরু হয়েছে। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ক্রয় অভিযানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম, উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন কর্মকর্তা সাকিল আহমেদ, কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জসিম উদ্দিন, নবীগঞ্জ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অলক বৈষ্ণব সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ২৭ টাকা কেজি বা ১ হাজার ৮০ টাকা মন দরে উপজেলায় ১ হাজার ৬ শত ৯১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের চুড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২৭ টাকা কেজি দরে বোরো ধান কেনা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া উক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম ১৬ আগষ্ট ২০২১ পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য এ বছর নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৮ হাজার ২ শত ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদ হয়। তার মধ্যে হাওরে ৫ হাজার ৫ শত ৬৫ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং হাওর ছাড়া ৪ হাজার ৭ শত ৫ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এ বছর সরকার ১ হাজার ৮০ টাকা মণ ধানের দাম নির্ধারণ করে নবীগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের নিকট হতে ১ হাজার ৬ শত ৯১ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। সরকারি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে এ ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর নবীগঞ্জ উপজেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৬ শত ৯১ মেট্রিক টন প্রচার করার পর আগ্রহী কৃষকগণ তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে। সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটি ১০টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে ১৬৯১ জন কৃষক নির্বাচন করে। খাদ্য বিভাগ এদের প্রত্যেকের নিকট থেকে ১ টন করে ধান সংগ্রহ করবে। এছাড়া প্রতি ইউনিয়নে ৩০ জন করে কৃষকের অপেক্ষমান তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এসব তালিকা শীঘ্রই খাদ্য বিভাগের নোটিশ বোর্ড, কৃষি অফিসের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রত্যেক কৃষককে নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে ক্রস চেকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হবে যাতে করে মধ্যসত্ত্বভোগীরা সুযোগ নিতে না পারে। ১নং বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়ন এ আবেদন করেছেন ২ শত ৫৬ জন, বরাদ্দ ১ শত ৪৬ টন, নির্বাচিত কৃষক ১ শত ৪৬ জন অপেক্ষমান ৩০ জন। ২নং বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে আবেদন ৩ শত ৪০ জন, বরাদ্দ ১ শত ৪২ টন, নির্বাচিত কৃষক সংখ্যা ১ শত ৪২ জন, অপেক্ষমান ৩০ জন। ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির মোট আবেদন করেছেন ৪ শত ৩০ জন, বরাদ্দ ৯৮ টন, লটারিতে মনোনীত কৃষক ৯৮ জন। অপেক্ষমাণ কৃষক সংখ্যা ৩০ জন। ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের ধানের তালিকা আবেদন হল ৩ শত ৬০। বরাদ্দ ৯৮ টন। লটারি মনোনীত হল ৯৮ জন। অপেক্ষমান হল ৩০ জন কৃষক। ৫নং আউশকান্দি, আবেদনকারী কৃষক ১ শত ৪ জন, বরাদ্দ ৯৭ টন, নির্বাচিত ৯৭ জন, অপেক্ষমান ৭ জন। ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন ৮ শত ৭০ জন আবেদন, বরাদ্দ ২২৬ টন, নির্বাচিত ২২৬ জন, অপেক্ষমান ৩০ জন। ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আবেদনকারী ২ শত ৪০ জন। বরাদ্দের পরিমাণ ১ শত ২৩ টন, নির্বাচিত ১ শত ২৩ জন, অপেমান ৩০ জন। নবীগঞ্জ পৌরসভা আবেদনকারী ১ শত ৬৯ জন। বরাদ্দের পরিমান ৭০ টন। নির্বাচিত ৭০ জন, অপেক্ষমান ২৫ জন। ৯নং বাউসা ইউনিয়নে আবেদন করেছেন ৪৯০ জন, বরাদ্দ ৯৮ টন। লটারিতে মনোনীত কৃষক ৯৮ জন, অপেক্ষমান কৃষক ৩০ জন। ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির মোট আবেদন করেছেন ১ শত ৮০ জন, বরাদ্দ ৯৮ টন। লটারিতে মনোনীত কৃষক ৯৮ জন। অপেক্ষমাণ কৃষক সংখ্যা ২৫ জন। মোট অপেক্ষমান ২৩৭ জন।


     এই বিভাগের আরো খবর