,

সবর ও শোকর

সময় ডেস্ক : মাহে রমজান সবরের মাস। দিনে পানাহারের যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও রোজাদার মুমিন মুসলমানরা শুধু আল্লাহ ও রসুল (সা.)-র নির্দেশনাকে শিরোধার্য করে পানাহার থেকে বিরত থাকে। এটাই সবরের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। হাদিস শরিফে আছে, রোজা সবরের অর্ধেক। অন্য হাদিসে হযরত রসুলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সবর’ জান্নাতের অন্যতম ভাণ্ডার। তাই মাহে রমজান ও রোজার সাথে রয়েছে সবরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রকৃতপক্ষে ইমানের দুটি গুণÑ একটি ‘সবর’, অন্যটি ‘শোকর’। আল্লাহর আসমায়ে হুসনা বা গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে ‘সাবূর’ ও ‘শাকূর’ উভয়টি রয়েছে। আর নবিয়ে করিম (সা.)-র সিফাতি বা গুণবাচক নামসমূহের মধ্যেও ‘সাবূর’ ও ‘শাকূর’ উভয়টি রয়েছে। তাই মহান আল্লাহ ও প্রিয়নবি হযরত রসুলে করিম (সা.)-র গুণে গুণান্বিত হতে চাইলে আমাদের নিজেদের জীবনে ‘সবর’ ও ‘শোকর’-এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আল্লাহ সবরকারীদের অনেক বিশেষণে বিভূষিত করেছেন এবং কোরআনুল করিমে সত্তরেরও বেশি জায়গায় সবরের উল্লেখ করেছেন। তিনি অনেক মর্যাদা ও পুণ্যকর্মকে সবরের ফলশ্র“তি সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা তাদের পুরস্কার দুবার পাবে। কারণ তারা সবর করেছে’। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সবরকারীদের তাদের পুরস্কার বে-হিসাব প্রদান করা হবে’। শুধু তাই নয়, স্বয়ং আল্লাহ নিজেই সবরকারীদের সাথে থাকেন বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবর করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবরকারীদের সাথে রয়েছেন।’ হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ.) বলেন, ‘সবর দুই প্রকার। ১. দৈহিক সবর, যেমন- দৈহিক কষ্ট সহ্য করা এবং তাতে সুদৃঢ় থাকা। এবং ২. মানসিক সবর; যেমন মনকে কুপ্রবণতা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে রাখা। প্রথম প্রকার সবর আবার দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। প্রথম. যেমনÑ নিজে কোনো কঠিন কাজ কিংবা এবাদত পালন করা এবং দ্বিতীয়. যেমনÑ অপরের কঠিন প্রহার অথবা মারাÍক যখম বরদাশত করা। এ ধরনের সবর শরিয়ত অনুযায়ী হলে উত্তম- নতুবা নয়। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকার সবর সর্বাবস্থায় উত্তম।


     এই বিভাগের আরো খবর