,

শায়েস্তগঞ্জে বেহাল অবস্থা পুলিশ ফাঁড়ির

সংবাদদাতা ॥ শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির জরাজীর্ণ ভবন এখন বেহাল। যে কোনো সময় ভবনের ছাদের পলেস্তারা ধসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন থেকে এ জরাজীর্ণ পুলিশ ফাঁড়ি ভবনে ১৭ জন পুলিশ সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত আছেন। বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় দিন দিন এর অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। যে কোনো সময় এ ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে, ওই পুলিশ ফাঁড়িতে ১৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত থাকলেও এখানে আবাসনের কোনো ব্যবস্থা নাই। তাই তারা স্টেশনের পরিত্যক্ত ভবনের বিশ্রামাগারে রাত্রিযাপন করেন। পুলিশ ফাঁড়িতে নেই কোনো শৌচাগার। তাদের স্টেশনের বিশ্রামাগারের টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ওযু, গোসল ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় আশপাশ থেকে পানির চাহিদা পূরণ করা হয়। গোসল করার প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দিঘীতে যেতে হয়। পুলিশ ফাঁড়িটির পেছনের অবস্থা আরও উদ্বেগজনক। ফাঁড়ির পেছনের অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সবসময় ময়লা পানি জমে থাকে। এতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি রোগ-জীবাণুর জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত, যা ওই পুলিশ ফাঁড়ির আশপাশের এলাকাকেও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ২০০৪ সালে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে এই পুলিশ ফাঁড়িটির সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণ করা হয়নি। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. হারুন অর রশিদ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করছি। আমরা মানুষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত, অথচ আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এই ফাঁড়িতে আমরা ১৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছি। এখানে বিশ্রাম বা থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো টয়লেটও নেই। ওযু, গোসল ও খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকায় আশপাশের টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি আনতে হয়। নতুন ভবনের চাহিদার বিষয়টি উর্ধ্বতন কৃর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত জরাজীর্ণ ভবনটি সম্পর্কে অবগত আছি। নতুন ভবনের জন্য ইরোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়া যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর