,

আজমিরীগঞ্জে হেফাজতের হয়ে পিকেটিং ॥ জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে হেফাজতের হরতালে পিকেটিং এর পুলিশ এসল্ট মামলায় জলসুখা ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামের আমির কাজী এমদাদুর রহমান (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে- গত মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় একটি বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে মুচলেকা দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশের ভ্রাম্যমাণ আদালতে আসেন। মুচলেখা দিয়ে ফেরার পথে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামন আসলে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফের নেতৃত্বে এএসআই মহসিন কবির আটক করে আজমিরীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। আটক কাজী এমদাদুর রহমান জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের মাওলানা আব্দুল আহাদের ছেলে। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বেলা ১২টায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের নোয়াগড় এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ আরও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং দুটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয়। একসময় হেফাজতের সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আবারও পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৩টি রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে হেফাজতের কর্মীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এর প্রেক্ষিতে ২৯ মার্চ সকালে আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত তালুকদার বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চার শতাধিক হেফাজত সমর্থকদের আসামি করে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান- আজকে (মঙ্গলবার) বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় উত্তম কুমার দাশ ফোনে আমাকে জানান বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের ফোর্স পাঠাতে। আমি তখন ওসি (তদন্ত) আবু হানিফকে ফোর্সসহ পাটাই। এরপরে ফোনে জানতে পারি যে কাজী বিয়ে পড়াচ্ছেন ওই কাজী এমদাদুর রহমান হেফাজতের পিকেটিং এর সময় মিছিলে ছিলেন এবং উনি জলসুখা ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামের আমির। এরপর তাকে আটক করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর