,

প্রধান আসামী বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল গ্রেফতার

জাবেদ তালুকদার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামী গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ-বাহুবল সড়কের মশাজান ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জের ডিবি ও নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইমদাদুর রহমান মুকুল উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে বেশ কয়েকদিন ধরে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে আইনশৃংখলা বাহিনী। গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহর (বিপিএম, পিবিএম বার) সার্বিক ত্বত্ত্বাবধানে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি আল-আমিন ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হবিগঞ্জ-বাহুবল সড়কের মশাজান ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত (২৬ মে) রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলের পার্শে অবস্থিত উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন বীর প্রতীকের ফিশারির পাহাড়াদার আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী ঝারু বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৭ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় নুর উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই জের ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত রবিবার (৩০ মে) সকালে প্রশাসনের সাথে সাতাইহালের নেতৃত্ব স্থানীয়দের বৈঠক চলাকালীন সময় সাতাইহাল গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে লুটপাট, বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১ জুন) নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসাইন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ গত ৩০ মে রবিবার রাতে সাতাইহাল গ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মৃত কুতুব মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া (৩০), লেদু মিয়া (৩৫), মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মামুন মিয়া (২০), নাঈম মিয়া (১৭), মৃত হাজী মৌলা বক্স এর ছেলে মুহিবুর রহমান মানিক (৪৩), মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে জলফু মিয়া (২৬), মৃত হাসিম উল্লার ছেলে রকিব উল্লা (৫০) নামের ৭ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।


     এই বিভাগের আরো খবর