,

কাগাপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝুকিপুর্ণ ভবন চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান আতংকে অভিভাবক মহল

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝুকিপুর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান আতংকে অভিবাবক মহল । বিদালয়টি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের কক্ষ কম হওয়ায় ঝুকিঁপুর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে । কাগাপাশা গ্রাম বাসীর অর্থায়নে ১৯৭৫ সালে এক একর সাত শতক জমি ত্রয় করে নিজেরাই প্রতিষ্টা করেন জনতা উচ্চ বিদ্যালয় । বিদ্যালয় প্রতিষ্টার সময়ে গুদাম টিনের চালা দিয়ে নির্মান করা ভবনে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম চালু করেন । এভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলার পর ১৯৯৫ সালে স্কুলের সামনে পুর্ব পার্শ্বে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মান করা হয়। ১৯৯৫ সালে নির্মিত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা ভবনটির দেওয়ালে ফাটল, ছাদে ফাটল ধরেছে । ব্যবহারের অনুপযোগী ঝুকিঁপুর্ণ ভবনে বসে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত লেখাপাড়া করছেন । স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে টিনের চালা ভবনটির বারান্দার পাকা পলার গুলো ও ভেঙ্গ্ হেলে পড়েছে । টিনের চালা এই ভবনে ও চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান । ঐ ভবনে প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের অফিস, ও কমনরুম হিসাবে ব্যবহার করছে । ১৯৯৫ সালে নির্মিত ভবণের দেওয়ালে ফাটল, ছাদের প্লাষ্টার ঝড়ে গেছে । বর্ষার মৌসুমে ছাদ চুষে পানি পড়ে বলে জানা গেছে। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত৫০ জন । শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে ১৪ জন কর্মচারী রয়েছে ৪ জন। জনতা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুনছুর আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় স্কুলের অবস্থা আরো করুন ছিল, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংসদ একান্ত প্রচেষ্টায় একটি একাডেমিক ভবন নির্মান করা হয়েছে । এছাড়াও স্কুলের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করা হয়েছে। জনতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসিস কুমার জানান, স্কুলের পাঠদানের কক্ষ সংকট হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ঝুকিপুর্ণ ভবণে পাঠদান করতে হচ্ছে । এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাউসার শোকরানা প্রতিবেদককে জানান স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি এ বিষয়ে আমাদেরকে অবহতি করেছেন আমরা স্কুল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।


     এই বিভাগের আরো খবর