,

পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবির সাড়াশি অভিযান, সিএনজি উদ্ধার ॥ দুই চোর আটক

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি হচ্ছে। চোরের দল চোখের নিমিষেই এসব যানবাহন নিয়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতাল, কোর্ট এলাকাসহ জনবহুল এলাকা থেকে এসব যানবাহন চুরি হচ্ছে। আর এই সিন্ডিকেটে রয়েছে আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্যরা। তাদের কাছে রয়েছে মাষ্টার চাবি। যা দিয়ে চোরের দল যানবাহনগুলো নিয়ে চম্পট দেয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদিও অভিযান চালিয়ে এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতেনাতে ধরে মালামাল উদ্ধার করে কোর্টে প্রেরণ করে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে তারা। কোনোভাবেই তাদেরকে দমন করা যাচ্ছে না। গত রবিবার রাতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লার নির্দেশে ডিবির ওসি মোঃ আল আমিনসহ একদল পুলিশ শহরের দুই নং পুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই একটি সিএনজি উদ্ধার করেন। এ সময় এ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আলতাব মিয়ার পুত্র সোহাগ খান (২৫), মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের লেদু মোল্লার পুত্র আল আমিন মোল্লা (২৬)। এ সময় তাদের দেখানো মতে একটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি এই চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবসহ তার কয়েকজন সহযোগীকে র‌্যাব আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সিএনজি উদ্ধার করে। কিন্তু তারপরও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সিএনজিসহ যানবাহন চুরি করছে। জানা যায়, গত ৪ জুন মাধবপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র আব্দুল জলিল বাচ্চু একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নোয়াপাড়া বাজার যাবার পথে ডাক্তার বাড়ি গেইট এলাকায় পৌঁছলে ৭-৮ জনের একদল ছিনতাইকারী চক্র সিএনজি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সে মাধবপুর থানায় অভিযোগ দেয়। পরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিএনজি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ডিবির ওসি আল আমিন জানান, আটকরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং এ চক্রের অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদেরকে রিমান্ডে এনে আরও তথ্য উদঘাটন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর