,

হবিগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মানা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৪ মামলা ও ২ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা

জুয়েল চৌধুরী ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নিদের্শনা উপো করে গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের নামে ভাড়া ডাকাতির মহোৎসব চলছে। এতে করে করোনায় সংকটাপন্ন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১০০ শতাংশ। ওদিকে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকলেও বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহণে বোঝাই করেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলাবাসী পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের
হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। হবিগঞ্জে গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০জুন) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী পাল এ ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি উপো করে গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৪টি মামলা এবং ২ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ‘করোনা সংকটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর জন্য বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও এখন দেশের অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বাস, সিএনজি, টমটমসহ গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করছে। এতে কর্মজীবী, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের সাধারণ লোকজন, কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এতে করে নারী, শিশু, অসুস্থ রোগী ও অফিসগামী যাত্রীরা অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়ছেন। বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে জেলার প্রতিটি রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনের যাত্রী-শ্রমিক বসচা, হাতাহাতি ও মারামারি চলছে।’ জানা যায়, এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর শর্ত দিয়ে চালু করা হয়েছিল গণপরিবহন। অর্ধেক যাত্রীবহন, চালক-সহকারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং পরিবহন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করার শর্ত দেয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। গণপরিবহন চালুর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে নৈরাজ্যকর চিত্র। জেলার বেশির ভাগ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও যাত্রী নেয়া হচ্ছে ইচ্ছামতো। কোনো কোনো বাসে দেখা যাচ্ছে সব আসন ভরেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। কিছু আসন শূন্য থাকলেও দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া হচ্ছে কোনো কোনো বাসে। এ ছাড়া মাস্ক পরছেন না অনেক যাত্রী। চালক-সহকারীরও একই অবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও বাড়তি ভাড়া আদায়ে কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। বরং বাড়তি যাত্রী নেয়ায় সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বাসকর্মীদের বসচা হচ্ছে নিয়মিত। এ অবস্থায় আবারো বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। শুধু গণপরিবহনই নয়, সরকারি দেয়া স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না খুব একটা। এ অবস্থায় নতুন করে বিধিনিষেধ কার্যকরের বিষয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী পাল বলেন, আমাদের এধরণের অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে, সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে কেউ কোন ধরণের যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর