,

নবীগঞ্জে ভাবীর সাথে পরকিয়া প্রেম! বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত ॥ আদালতে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের আজল পুর গ্রামে ভাবীর সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হন স্বামী অভিযোগ স্ত্রীর! এতে বাঁধা দেওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ায় ৩ সন্তানের জননী মৌসুমী’র স্বামী সহ পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মৌসুমী আক্তার (৩০)কে হামলা করে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছেন স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজন। আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থার বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে অবশেষে সামাজিক বিচার না পেয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কগ-(৫) এতে স্বামী ও পরকিয়া প্রেমিকা ভাবী সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মৌসুমি আক্তার। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে এফ.আই.আর গ্রহন যোগ্যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিযেছেন নবীগঞ্জ থানাকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ মে রাত অনুমান ৭টার দিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ ও নির্যাতিত গৃহবধূ এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি উপজেলার দীঘল বাক ইউনিয়নের রায়ঘর গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বির মিয়ার কন্যা ২০১১ সালে পারিবারিক ভাবে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে সামাজিক নিয়মনীতি অনুসারে কাবিনমূলে তার বিবাহ হয় একই উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আজল পুর গ্রামের মৃত রইছ উল্লার পুত্র আঃ সালাম (৪৫) এর সহিত বিয়ের পরে দীর্ঘদিন তাদের সংসার ভালোই কাটছিলো, তাদের ঔরসজাত ৩টি কন্যা সন্তান ও রয়েছে। গত বছর মৌসুমীর ভাসুর অর্থাৎ স্বামীর ভাই সিরাজ মিয়া মৃত্যু বরণ করেন, এর পর থেকে তার স্বামী আঃ সালাম তার ভাবী জনৈকা বিধবার সাথে অবৈধ (পরকিয়া) প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এতে মৌসুমি তার স্বামী ও জ্যা’কে বাধা প্রদান করিলে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রেমিক জুটি, প্রায়ই তাকে প্রাণে হত্যা সহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতো তারা। অবশেষে এরই জেরধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মৌসুমীকে খুন করার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র শস্ত্র সহকারে হামলা করে তাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন আঃ সালাম সহ তার লোকজন। এ সময় গৃহবধূর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ভাগ্যক্রমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় হামলাকারী ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মৌসুমি। তিনি বলেন স্থানীয়দের সহায়তায় ভাগ্যক্রমে কোন রকম প্রাণে রক্ষা পেলেও তার শারিরিক সুস্থতা পিরিয়ে আসা ভাগ্যের হাতেই তিনি ছেড়ে দিয়েছেন, এছাড়াও তার দেড় বছর বয়সী একটি দুধের শিশু কন্যা সন্তানসহ তার বাচ্চাদেরকেও তার বুক থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। মৌসুমী প্রশাসনের নিকট সহযোগিতার দাবী জানান। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো আমার কাছে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নির্দেশ ও মামলাটি আসেনি, আমাদের হাতে নির্দেশনা আসা মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর