,

নবীগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ! ৭ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. সঞ্জিত সেন রায়ের স্বেচ্ছাচারিতা, সরকার ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বহির্ভুত কর্মকান্ড ও আর্থিক কেলেংকারীর অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দীর্ঘ ৭ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিবেদন দাখিল না করায় হতাশায় ভুগছেন অভিযোগ কারীরা। জানা যায় গত ১১/১১/২০১৭ইং ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরাসরি অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হন তহির উদ্দিনসহ ৪ জন সদস্য। ওই সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে কমিটির মেয়াদ ছিল ৪ বছর। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর কমিটির অনুমোদন হয় ১১ জানুয়ারী ২০১৮ইং। মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা ১০ জানুয়ারী ২০২২ইং, পরবর্তীতে গভর্নিং বডির ১ম সভায় অধ্যক্ষ জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটির মেয়াদ দুই বছর অনুমোদন হয়ে আসছে। নির্বাচিত সদস্যরা বলেন কমিটির মেয়াদতো ৪ বছর হওয়ার কথা। তখন অধ্যক্ষ তাদের জানান দুই বছর পূর্ণ হবার পর আবার কমিটি নবায়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবো। কিন্ত কমিটির মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন কমিটির মেয়াদ শেষ এবং নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন দিতে হবে। পরে তিনি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন এবং ১৫/১২/২০১৯ইং তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া, বিগত ৯/১০ মাস ধরে নতুন নির্বাচিতদেরকে এমনকি গভর্নিং বডির সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে কলেজের যাবতীয় কর্মকান্ড তিনি নিজে একাই পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে কলেজের অর্থ কেলেংকারী, শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্য গ্রুপিং, ২/৩ জন শিক্ষক নিয়ে ভর্তি বানিজ্য, কলেজের প্রতিষ্টাতা ও দাতা অথবা অভিভাবকদের সাথে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করারও অভিযোগ রয়েছে। ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দসহ এলাকাবাসী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আজিজুল হককে আহবায়ক করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন ও সমবায় কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলামসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। গভর্নিং বডির সদস্য তহির উদ্দিন, আবুল কালম আজাদ, প্রতিষ্টাতা সদস্য আব্দুর রুপ জানান গত ২১ জানুয়ারী ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে তদন্ত কমিটির তদন্ত সম্পন্ন হয়। কিন্ত দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও আজও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এ ব্যাপারে কমিটির আহবায়ক ডাঃ আজিজুল হক জানান, তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। আগামী সপ্তায় প্রতিবেদন পাঠাবো বলে আশা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর