,

আওয়ামী আইনজিবী পরিষদের সম্মেলনে এমপি আবু জাহির প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী সাবেক এমপি এড. আব্দুল মোছাব্বির সভাপতি ও এড. নিলাদ্রী শেখর টিটো সম্পাদক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, হবিগঞ্জের মানুষ বারবার নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করায় সরকার এখানে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছে। হবিগঞ্জের সর্বত্র শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জে অনেক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধান মন্ত্রী জনসভায় যখন ভাষন দিবেন তখন আমরা তার মুখ থেকে হবিগঞ্জে  মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষনা শুনতে চাই। ‘আইনের শাসন ও সার্বজনিন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ শ্লোগান নিয়ে গতকাল দুপুরে বার লাইব্রেরীর ২য় শাখায় আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তবে একথাগুলো বলেন। আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট এ.আর.এম আকল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুকের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি ও আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল, এডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল, জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদর চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরী, এডভোকেট ফজলে আলী ও এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো। এমপি আবু জাহির বলেন, দেশের রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় আইনজীবিরা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হবিগঞ্জে আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে আইনজীবিদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। কিন্তু ইদানিং চক্রান্তকারী ও রাজাকারদের দোষররা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের এই সম্মেলন সবাইকে বুঝিয়ে দিতে স্বক্ষম হয়েছে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত আইনজিবীরা প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল এবং জনসভায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সকল আইনজীবিদেরকে আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম.পি আব্দুল মজিদ খান বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু এই উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা না বলে ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে অপ প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এই অপ প্রচারের জবাব দিতে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারে আওয়ামীলীগ সর্মথিত আইনজীবিরা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারন একজন আইনজীবির কাছে প্রতিদিনই কিছু না কিছু মানুষ আসেন। তিনি বলেন, হবিগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতির যে ঐতিহ্য রয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আওয়ামীলীগের প্রতি আকৃষ্ট করতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। গতকাল বেলা আড়াইটায় কোর্ট প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের মাধম্যে পতাকা উত্তোলন ও পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। সম্মেলনের শুরুতে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদে যোগদানকৃত নবাগত আইনজীবিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বপরিবারে শাহাদাৎ বরণকারী সকল সদস্য বৃন্দ, মুক্তিযদ্ধে নিহতদের স্মরণে এবং  আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১মিনিট নিরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। পরে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সম্মেলন শেষে বিগত কমিটি বিলুপ্ত করে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের পরিচালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে প্রথমেই কাউন্সিলার তালিকা অনুমোদন করা হয়। কাউন্সিলার তালিকা অনুমোদন হলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীতা আহবান করলে সভাপতি পদে ৩ জন এবং সাধারন সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয় প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতা করার জন্য। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ১০ মিনিটের মাঝে সভাপতি পদে সমঝোতা করলেও সাধারন সম্পাদক পদে কিছুটা বিলম্ভ হয়। সভাপতি পদে সাবেক এমপি ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বিরকে সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটোকে সাধারন সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে দুই সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের তালুকদার ও এডভোকেট কামাল আহমেদকে সহ-সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ফয়জুল গনি কাইজার ও মুজিবুর রহমান কাজলকে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করা হয়। এমপি আবু জাহির ১৫ দিনের মাঝে ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘঠন করতে এবং অভিষেক অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেন। প্রতি বছরই তিনি আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য ও তাদের স্ত্রীদেরকে নিয়ে ডিনার ও নবাগতদের বরণ অনুষ্ঠান আয়োজনেরর নির্দেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর